হালিম সৈকত, কুমিল্লা।
তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের
দাসকান্দি গ্রামের গোমতি নদীর দক্ষিণ পাড়ে যুবসমাজ কর্তৃক মাহফিলের আয়োজন করা হয় গতকাল শনিবার।
উক্ত মাহফিলে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক বাবুল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন পলাশের।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সাথে জরুরি মিটিং থাকায় সাংবাদিক বাবুল আহমেদ ও দেলোয়ার হোসেন পলাশ মাহফিলে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
এই সুযোগে আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে এসহাক মোল্লা জুয়েল লোকজন নিয়ে এসে সভাপতি বাবুল চেয়ারম্যানের নাম স্কচটেপ দিয়ে ঢেকে দেন বলে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান বাবুল আহমেদসহ মাহফিল কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আহমেদ বলেন, ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও জরুরি কাজ থাকায় ঢাকায় অবস্থান করতে হয়েছে। তাই মাহফিলে আসতে পারিনি। তবে আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে এসহাক মোল্লা জুয়েলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-প্রচার চালাচ্ছে দাসকান্দিবাসি আমাকে বয়কট করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মানহানি করার জন্যই এমনটি করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মাহফিল কমিটির সহ সভাপতি মোঃ শামসুল হক মোল্লা বলেন, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সব জায়গায় সভাপতির নাম চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদকে করেছি, তাক বাদ দিব কেন? আমরা ব্যানার থেকে নাম বাদ দেই নি। কে বা কারা নাম মুছে ফেলেছে আমি বলতে পারব না। আমি তখন বাসায় মেহমান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
তিতাস থানার এসআই ইমরুল হক বলেন, কাউকে নাম মুছে ফেলতে আমি দেখিনি। তবে আমার কাছে তথ্য ছিলো মাহফিলকে ঘিরে গন্ডগোল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমি আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলাম।
এ বিষয়ে এসহাক মোল্লা জুয়েল বলেন, মাহফিল কমিটির লোকজন আমার আব্বা সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন মোল্লাকে দাওয়াত দিলে আব্বা আমাকে পাঠান। আমি গিয়ে দেখি মাহফিলে সভাপতির নাম স্কচটেপ দিয়ে ঢাকা। আমি কথা বলে চলে আসি। মাহফিল কমিটির লোকজনই বাবুল আহমেদ চেয়ারম্যানকে বয়কট করেছে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এ ধরনের কাজ কেন করব? আমি এধরনের কাজের সাথে জড়িত নই।