8:32 pm, Friday, 18 October 2024

তিতাসে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

 

ইমাম হোছাইন,তিতাস:

 

 

কুমিল্লার তিতাসে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়“কাঁঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের” প্রধান শিক্ষক মেহরাব হোসেন ও অফিস সহকারী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়েছে গ্রামবাসী।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনব্যাপী বিদ্যালয় প্রঙ্গনে গ্রামবাসী সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জানা যায়, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের বারকাউনিয়া, চরকুমারীয়া, নয়াকান্দি, তাতুয়াকান্দি, মজমেরকান্দি, প্রথম স্বরসতী চর ও দ্বিতীয় স্বরসতীর চর গ্রামের মানুষ ২০০৪সালে চরকুমারিয়া গ্রামে “কাঁঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’টি প্রতিষ্ঠা করে। বেসরকারী বিদ্যালয়টি শুরুতে বেশ ভাল ফলাফলসহ পরিচালিত হলেও ২০২১সাল থেকে

 

রহস্যজনকভাবে অগ্নিসংযোগ, আসবাবপত্র চুরিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে আয় ও ব্যয়ের হিসাবেও গড়মিল। এ নিয়ে কয়েক মাস আগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন ফজলুকে প্রধান করে ৫সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গ্রামবাসী।

 

শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাত গ্রামের গন্যমাণ্য মানুষের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত সভায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে গত তিন বছরে ৯ লাখ টাকার গড়মিল উল্লেখ করা হয়। উন্মোক্ত সভার জুড়িবোর্ডের সিদ্ধান্ত মতে প্রধান শিক্ষক মেহরাব হোসেনকে ২০ হাজার টাকা ও অফিস সরকারী সাইদুল ইসলামকে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং উভয়কে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

 

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন ফজলু জানান, গত ৪ বছর ধরে বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম চলছিলো। আমরা কখনোই স্কুলের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসেব পেতাম না। তদন্তে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে যা গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, সাত গ্রামের মানুষে অনুদানে বিদ্যালয়টি চলে। গ্রামের মানুষই তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় সাত গ্রামের গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতি এবং জুড়িবোর্ডের সিদ্ধান্ত মতে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সরকারীকে বহিষ্কার এবং জরিমানা করা হয়েছে।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মেহরাব হোসেন বলেন,`আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। অফিস সহকারীর কথার ফাঁদে পড়ে ভুলের মাশুল দিতে হলো আমাকে।

অফিস সহকারী সাইদুল ইসলাম সাইফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,’ আমি মামলা সংক্রান্ত কারনে ২ মাস যাবত এলাকার বাহিরে আছি। আমি মামলার জামিন নিয়ে এলাকায় আসবো, আমার কাছে বিদ্যালের সকল হিসাব আছে। এলাকাবাসীকে নিয়ে সকল হিসাব দিব। আমি ষড়যন্ত্রর শিকার।

 

এব্যপারে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ জানায়নি। এমপিও বা ননএমপিওভূক্ত যাই হোক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে খোজ নিব।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

তিতাসে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

Update Time : 03:02:45 pm, Sunday, 13 October 2024

 

ইমাম হোছাইন,তিতাস:

 

 

কুমিল্লার তিতাসে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়“কাঁঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের” প্রধান শিক্ষক মেহরাব হোসেন ও অফিস সহকারী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়েছে গ্রামবাসী।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনব্যাপী বিদ্যালয় প্রঙ্গনে গ্রামবাসী সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জানা যায়, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের বারকাউনিয়া, চরকুমারীয়া, নয়াকান্দি, তাতুয়াকান্দি, মজমেরকান্দি, প্রথম স্বরসতী চর ও দ্বিতীয় স্বরসতীর চর গ্রামের মানুষ ২০০৪সালে চরকুমারিয়া গ্রামে “কাঁঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’টি প্রতিষ্ঠা করে। বেসরকারী বিদ্যালয়টি শুরুতে বেশ ভাল ফলাফলসহ পরিচালিত হলেও ২০২১সাল থেকে

 

রহস্যজনকভাবে অগ্নিসংযোগ, আসবাবপত্র চুরিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে আয় ও ব্যয়ের হিসাবেও গড়মিল। এ নিয়ে কয়েক মাস আগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন ফজলুকে প্রধান করে ৫সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গ্রামবাসী।

 

শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাত গ্রামের গন্যমাণ্য মানুষের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত সভায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে গত তিন বছরে ৯ লাখ টাকার গড়মিল উল্লেখ করা হয়। উন্মোক্ত সভার জুড়িবোর্ডের সিদ্ধান্ত মতে প্রধান শিক্ষক মেহরাব হোসেনকে ২০ হাজার টাকা ও অফিস সরকারী সাইদুল ইসলামকে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং উভয়কে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

 

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন ফজলু জানান, গত ৪ বছর ধরে বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম চলছিলো। আমরা কখনোই স্কুলের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসেব পেতাম না। তদন্তে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে যা গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, সাত গ্রামের মানুষে অনুদানে বিদ্যালয়টি চলে। গ্রামের মানুষই তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় সাত গ্রামের গন্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতি এবং জুড়িবোর্ডের সিদ্ধান্ত মতে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সরকারীকে বহিষ্কার এবং জরিমানা করা হয়েছে।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মেহরাব হোসেন বলেন,`আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। অফিস সহকারীর কথার ফাঁদে পড়ে ভুলের মাশুল দিতে হলো আমাকে।

অফিস সহকারী সাইদুল ইসলাম সাইফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,’ আমি মামলা সংক্রান্ত কারনে ২ মাস যাবত এলাকার বাহিরে আছি। আমি মামলার জামিন নিয়ে এলাকায় আসবো, আমার কাছে বিদ্যালের সকল হিসাব আছে। এলাকাবাসীকে নিয়ে সকল হিসাব দিব। আমি ষড়যন্ত্রর শিকার।

 

এব্যপারে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কেউ জানায়নি। এমপিও বা ননএমপিওভূক্ত যাই হোক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে খোজ নিব।