12:23 am, Saturday, 19 October 2024

তিতাসে বসতঘর ভেঙে নগদ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র লুটপাট “”থানায় অভিযোগ।

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি.

কুমিল্লার তিতাসে তিনটি বসতঘর ভেঙে নগদ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাশ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার মো. শফিউল্লা গ্রুপের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উপজেলা মজিদপুর ইউনিয়ন চর-মোহনপুর আবদুর রশিদের বাড়িতে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় ৮/১০ জন আহত হয়েছে বলে জানাযায়।
এ বিষয়ে তিতাস থানায় ৯জনকে আসামি করে ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি অভিযোগ করলে ওইদিন বিকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিতাস থানা পুলিশ।
আসামিরা হল, মেঘনা উপজেলা বালুর-চর গ্রামের, মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে মো. মোস্তফা, মো. মোস্তফার ছেলে মো. সফিউল্লাহ, কামাল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ,আলতু মিয়ার ছেলে মো. জিলানী, আ. সালামে ছেলে মো.শরিফ মিয়া, মোস্তফার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন, মৃত আইয়ুব মিয়ার ছেলে মো. জালাল মিয়া, মো. জালাল মিয়ার ছেলে মোখলেছ মিয়া, কামাল হোসেনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন হোসেন’সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০জন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, গত ৩৫ বৎসর যাবত আমার বসত বাড়ীতে আমি ০৩টি দোচালা টিনের বসত ঘর উঠাইয়া আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন বসবাস করে আসছি । উল্লেখিত আসামীরা আমার পাশাপাশি থানার লোক ও পরস্পর আত্মীয়।
তাদের সাথে পূর্ব হইতে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আমার বিরোধ ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলমান । এরই জেরে বৃহস্পতিবার শফিউল্লার নেতৃত্ব ৩০/৪০ জনের ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী, লাঠিসোটা, লোহার রড, লোহার পাইপ, লোহার শাবল, ছুরি, চাপাতি ও রামদা নিয়া এসে আমার বসতঘর ভাংচুর শুরু করে। তখন আমি বসতঘর ভাংচুর করিতে বাধা দিলে তারা আমার ছেলে, স্ত্রী,আমার মেয়ে, বোন, ভাগনী,পুত্রবধূ, ও আমার ভাতিজী আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে,এ সাময় তারা আমার ভাগ্নির পড়নের কাপড়চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেস্টা করে। সন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাতারি পিটিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করে। এময় আমার মেয়ের গলায় থাকা ১টি ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ঘরের ভিতর থাকা ১টি ষ্টীলের আলমারী, ফ্রিজ, সেলাই মেশিন, নগদ দুই লক্ষ টাকা, ৩ভরি স্বর্নালংকার , ঘরের ড্রাম ভর্তি ২৫ মন চাউল, ১৬ভরি রুপা, তিনটি মোবাইল সেটসহ আমাদের গোয়ালের গরু লুট করে নিয়ে যায়।
এতে আমি নিঃশ হয়ে গেছি।আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিউল্লাহ জানান, এই যায়গা আমার পিতার নামে যা ৪৫ বছর যাবৎ আমরা ভোগদখল করে আসছি । তাছাড়া বিএস এবং বি আরও আমার বাবার নামে। আব্দুর রশিদ এই সম্পত্তির মালিক হয় কিভাবে? ওইখানে দুইটি বসতঘরও আমাদেরই তোলা। তাছাড়া ঘর করার জন্য কিছুদিন পুর্বে আমি বালুও ভরাট করেছি। ওই যায়গায় ঘর উঠাতে গেলে রশিদ মিয়ার পরিবার উল্টো আমাদের উপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক জানান, বিষয়টি আমার গুরুত্বসহ দেখছি। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাও রয়েছে। দখল বেদখল নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষে আমরা কাজ করছি।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

তিতাসে বসতঘর ভেঙে নগদ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র লুটপাট “”থানায় অভিযোগ।

Update Time : 01:31:31 pm, Friday, 30 August 2024

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি.

কুমিল্লার তিতাসে তিনটি বসতঘর ভেঙে নগদ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাশ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার মো. শফিউল্লা গ্রুপের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উপজেলা মজিদপুর ইউনিয়ন চর-মোহনপুর আবদুর রশিদের বাড়িতে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় ৮/১০ জন আহত হয়েছে বলে জানাযায়।
এ বিষয়ে তিতাস থানায় ৯জনকে আসামি করে ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি অভিযোগ করলে ওইদিন বিকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিতাস থানা পুলিশ।
আসামিরা হল, মেঘনা উপজেলা বালুর-চর গ্রামের, মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে মো. মোস্তফা, মো. মোস্তফার ছেলে মো. সফিউল্লাহ, কামাল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ,আলতু মিয়ার ছেলে মো. জিলানী, আ. সালামে ছেলে মো.শরিফ মিয়া, মোস্তফার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন, মৃত আইয়ুব মিয়ার ছেলে মো. জালাল মিয়া, মো. জালাল মিয়ার ছেলে মোখলেছ মিয়া, কামাল হোসেনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন হোসেন’সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০জন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, গত ৩৫ বৎসর যাবত আমার বসত বাড়ীতে আমি ০৩টি দোচালা টিনের বসত ঘর উঠাইয়া আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন বসবাস করে আসছি । উল্লেখিত আসামীরা আমার পাশাপাশি থানার লোক ও পরস্পর আত্মীয়।
তাদের সাথে পূর্ব হইতে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আমার বিরোধ ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলমান । এরই জেরে বৃহস্পতিবার শফিউল্লার নেতৃত্ব ৩০/৪০ জনের ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী, লাঠিসোটা, লোহার রড, লোহার পাইপ, লোহার শাবল, ছুরি, চাপাতি ও রামদা নিয়া এসে আমার বসতঘর ভাংচুর শুরু করে। তখন আমি বসতঘর ভাংচুর করিতে বাধা দিলে তারা আমার ছেলে, স্ত্রী,আমার মেয়ে, বোন, ভাগনী,পুত্রবধূ, ও আমার ভাতিজী আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে,এ সাময় তারা আমার ভাগ্নির পড়নের কাপড়চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেস্টা করে। সন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাতারি পিটিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করে। এময় আমার মেয়ের গলায় থাকা ১টি ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ঘরের ভিতর থাকা ১টি ষ্টীলের আলমারী, ফ্রিজ, সেলাই মেশিন, নগদ দুই লক্ষ টাকা, ৩ভরি স্বর্নালংকার , ঘরের ড্রাম ভর্তি ২৫ মন চাউল, ১৬ভরি রুপা, তিনটি মোবাইল সেটসহ আমাদের গোয়ালের গরু লুট করে নিয়ে যায়।
এতে আমি নিঃশ হয়ে গেছি।আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিউল্লাহ জানান, এই যায়গা আমার পিতার নামে যা ৪৫ বছর যাবৎ আমরা ভোগদখল করে আসছি । তাছাড়া বিএস এবং বি আরও আমার বাবার নামে। আব্দুর রশিদ এই সম্পত্তির মালিক হয় কিভাবে? ওইখানে দুইটি বসতঘরও আমাদেরই তোলা। তাছাড়া ঘর করার জন্য কিছুদিন পুর্বে আমি বালুও ভরাট করেছি। ওই যায়গায় ঘর উঠাতে গেলে রশিদ মিয়ার পরিবার উল্টো আমাদের উপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক জানান, বিষয়টি আমার গুরুত্বসহ দেখছি। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাও রয়েছে। দখল বেদখল নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষে আমরা কাজ করছি।