হালিম সৈকত, কুমিল্লা।
কুমিল্লার তিতাসের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের অভিভাবক সদস্য নুরুজ্জামানের ইয়াবা সেবনের ছবি এখন ভাইরাল।
এই ছবি দেখে কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের অবস্থা দিনকে দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ। একে তো গত দুই বছর যাবত ফলাফল বিপর্যয়। অন্যদিকে ম্যানেজিং কমিটির কোন কোন সদস্যকে নিয়ে বির্তক যেন পিছু ছাড়ছে না।
সব মিলিয়ে স্কুলটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসছে দিনকে দিন।
বর্তমান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির এক অভিভাবক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ ওঠেছে। তার নাম মোঃ নুরুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি আলীনগর। অভিযোগ ওঠেছে সে মাদকের সাথে জড়িত। এত দিন কথাটি মানুষের মুখে মুখে থাকলেও কোন প্রমাণ ছিলো না। এখন তার মাদক সেবনের ছবি তিতাসের প্রতিটি মানুষের মোবাইলে মোবাইলে দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত অভিভাবক সদস্য মোঃ নুরুজ্জামানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ছবিটি অনেক আগের। ভাই ভুল করে ফেলেছি, ভাই হিসেবে মাফ করে দেওয়া যায় না? যাদের সাথে আমার গন্ডগোল হয়েছিল তারাই ছবিটি সবাইকে দিচ্ছে।
এই বিষয়ে মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। স্কুল খুললে সভাপতিসহ সকলের সাথে কথা বলে জানতে পারব বিষয়টি আসলে কি?
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আলম সরকার বলেন, অতীতে কে কি করেছে সে বিষয়ে আমি কিভাবে বলব? তবে স্কুলে আসার পর সে চা পর্যন্ত পান করে না অন্য কিছু তো দূরের কথা। নুরুজ্জামান আমাকে বলেছে ছবিটি এডিট করা। এই বিষয়ে আমি কি বলব?
সাবেক সভাপতি ও তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুন্সি মুজিবুর রহমান বলেন, মাদকের সাথে জড়িত কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে না। মাছিমপুর স্কুলের সাবেক সভাপতি হিসেবে আমি প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান সভাপতির সাথে কথা বলে অভিযুক্ত সদস্যের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা করব।
চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মাছিমপুর গ্রামের সন্তান মোঃ মহসিন সরকার বলেন, স্কুল অভিভাবক সদস্যের কেউ যদি নেশাগ্রস্ত হয়, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কাছ থেকে কি শিখবে। তাদের চরিত্র গঠনে তারা কি ভূমিকা পালন করবে? সে কমিটিতে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে।
অভিভাবক সদস্য জহিরুল ইসলাম পাশা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। নেশার সাথে কেউ জড়িত থাকলে, সে কমিটিতে থাকার বৈধতা হারায়। আমরা সভাপতি, প্রধান শিক্ষকসহ সকলের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব কি করা যায়?