12:19 am, Saturday, 19 October 2024

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও জেলা আ.লীগের সা.সম্পাদক ছিলেন অনুপস্থিত 

 

আশিকুর রহমান :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩ বিভাগের ৬ জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীদের সাথে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নরসিংদী সদর উপজেলার নরসিংদী ক্লাবে এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন ও দলীয় প্রার্থী নরসিংদীর ৫টি সংসদীয় নির্বাচনী আসন থেকে যথাক্রমে নরসিংদী সদর-১ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো (বীর প্রতীক), নরসিংদী-২ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান, নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ হুমায়ুন ও নরসিংদী-৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সহ জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুধু উপস্থিত ছিলেন না জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী ও তার অনুসারীরা।

এবিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রতিনিধিকে জানান, ২৭ ডিসেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানান বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁওস্হ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নরসিংদী সহ ৬টি জেলার প্রার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে নির্বাচনী ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহন করবেন। তাই জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জনসভায় দলের প্রথম সারির নেতা পীরজাদা মোহাম্মদ আলী উপস্থিত না থাকায় দলের নেতাকর্মীর মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি যদি দলকে ভালবাসতেন এবং মুজিববাদে বিশ্বাস করতেন অবশ্যই তিনি নেত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকতেন। তিনি আরও বলেন, দূর্ভাগ্য আমাদের, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি। যে ব্যক্তি কি-না বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বিশ্বনেত্রী দলের সভাপতি শেখ হাসিনার আদেশ অমান্য করে।

জেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, তার এহেন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। তিনি দলকে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। তিনি অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে নরসিংদীতে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা কর ব্যর্থ হলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬টি জেলায় দলীয় নৌকা প্রতীক প্রার্থীদের সাথে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও জেলা আ.লীগের সা.সম্পাদক ছিলেন অনুপস্থিত 

Update Time : 10:41:36 am, Friday, 29 December 2023

 

আশিকুর রহমান :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩ বিভাগের ৬ জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীদের সাথে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নরসিংদী সদর উপজেলার নরসিংদী ক্লাবে এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন ও দলীয় প্রার্থী নরসিংদীর ৫টি সংসদীয় নির্বাচনী আসন থেকে যথাক্রমে নরসিংদী সদর-১ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো (বীর প্রতীক), নরসিংদী-২ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান, নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ হুমায়ুন ও নরসিংদী-৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সহ জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুধু উপস্থিত ছিলেন না জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী ও তার অনুসারীরা।

এবিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রতিনিধিকে জানান, ২৭ ডিসেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানান বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁওস্হ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নরসিংদী সহ ৬টি জেলার প্রার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে নির্বাচনী ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহন করবেন। তাই জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জনসভায় দলের প্রথম সারির নেতা পীরজাদা মোহাম্মদ আলী উপস্থিত না থাকায় দলের নেতাকর্মীর মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি যদি দলকে ভালবাসতেন এবং মুজিববাদে বিশ্বাস করতেন অবশ্যই তিনি নেত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকতেন। তিনি আরও বলেন, দূর্ভাগ্য আমাদের, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি। যে ব্যক্তি কি-না বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বিশ্বনেত্রী দলের সভাপতি শেখ হাসিনার আদেশ অমান্য করে।

জেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, তার এহেন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। তিনি দলকে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। তিনি অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে নরসিংদীতে টক অব দ্যা টাউনে পরিনত করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা কর ব্যর্থ হলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬টি জেলায় দলীয় নৌকা প্রতীক প্রার্থীদের সাথে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন।