6:24 pm, Friday, 18 October 2024

১৮০ দিনে কুরআন হাফেজ হলেন ১০ বছর বয়সী ইমদাদ

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

মা-বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলেকে কুরআন হাফেজ বানাবেন। সেই লক্ষে নিজেদের ১০ বছর বয়সী ছেলে ইমদাদুল ইসলামকে ভর্তি করেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসায়।

হিফজ্ বিভাগের ভর্তি হয়ে মাত্র ১৮০ দিনে ৩০ পারা পবিত্র কুরআন মুখস্ত করে হাফেজ হন ইমদাদ। জানা যায়, চলতি বছরের মার্চে ছেলেকে কুরআন হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানারহাট এলাকার এরশাদ উদ্দিন ও বকুল দম্পতি তাদের ১০ বছরের সন্তান ইমদাদকে ভর্তি করেন স্থানীয় তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার হিফজ্ বিভাগে।

 

 

ভর্তির মাত্র ৬ মাসের মাথায় পুরো ৩০ পারা কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হয় ইমদাদ। তার এমন সাফল্যে খুশি তার সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।খুব অল্প সময়ে যেভাবে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করছেন ঠিক সেভাবে সবার দোয়া ও ওস্তাদদের দোয়ায় আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সদ্য হাফেজ হওয়া ইমদাদুল ইসলামের।

এজন্য তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি জানান, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

 

সহপাঠীরা জানায়, এমদাদ মাত্র ছয় মাসে হিফজ শেষ করেছে যার জন্য আমরা খুব আনন্দিত। তার মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে।

 

 

আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।এমদাদুল ইসলামের বাবা এরশাদুল জানান, তার দাদির ইচ্ছা ছিল তাকে হাফেজ বানানো। সে তার দাদির স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

 

 

আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কবুল করে।মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কুরআন মুখস্ত করায় তার প্রতি সন্তুষ্ট শিক্ষকরাও। তাদের প্রত্যাশা, ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ ক্ষুদে হাফেজ। তারা জানান, তার এ সাফল্যে সমাজের মানুষ আরও বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

 

 

এদিকে, হাফেজ ইমদাদুল ইসলামের এই অনন্য কৃতিত্ব আল্লাহ যেনো কবুল করে এবং তার মেধাকে দ্বীনে কাজে লাগায় সে প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এইচ এম নাছরুল্লাহর। তিনি জানান, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এটি আমাদের জন্য গর্বের।

 

 

তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে।তিনি আরও জানান, এ প্রতিষ্ঠান নিয়ম-নীতি, শৃঙ্খলা, ছাত্রদের প্রতি যত্নশীলতা ও শিক্ষকবৃন্দের সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

১৮০ দিনে কুরআন হাফেজ হলেন ১০ বছর বয়সী ইমদাদ

Update Time : 11:23:54 pm, Thursday, 10 October 2024

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

মা-বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলেকে কুরআন হাফেজ বানাবেন। সেই লক্ষে নিজেদের ১০ বছর বয়সী ছেলে ইমদাদুল ইসলামকে ভর্তি করেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসায়।

হিফজ্ বিভাগের ভর্তি হয়ে মাত্র ১৮০ দিনে ৩০ পারা পবিত্র কুরআন মুখস্ত করে হাফেজ হন ইমদাদ। জানা যায়, চলতি বছরের মার্চে ছেলেকে কুরআন হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানারহাট এলাকার এরশাদ উদ্দিন ও বকুল দম্পতি তাদের ১০ বছরের সন্তান ইমদাদকে ভর্তি করেন স্থানীয় তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার হিফজ্ বিভাগে।

 

 

ভর্তির মাত্র ৬ মাসের মাথায় পুরো ৩০ পারা কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হয় ইমদাদ। তার এমন সাফল্যে খুশি তার সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।খুব অল্প সময়ে যেভাবে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করছেন ঠিক সেভাবে সবার দোয়া ও ওস্তাদদের দোয়ায় আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সদ্য হাফেজ হওয়া ইমদাদুল ইসলামের।

এজন্য তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি জানান, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

 

সহপাঠীরা জানায়, এমদাদ মাত্র ছয় মাসে হিফজ শেষ করেছে যার জন্য আমরা খুব আনন্দিত। তার মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে।

 

 

আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।এমদাদুল ইসলামের বাবা এরশাদুল জানান, তার দাদির ইচ্ছা ছিল তাকে হাফেজ বানানো। সে তার দাদির স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

 

 

আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কবুল করে।মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কুরআন মুখস্ত করায় তার প্রতি সন্তুষ্ট শিক্ষকরাও। তাদের প্রত্যাশা, ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ ক্ষুদে হাফেজ। তারা জানান, তার এ সাফল্যে সমাজের মানুষ আরও বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

 

 

এদিকে, হাফেজ ইমদাদুল ইসলামের এই অনন্য কৃতিত্ব আল্লাহ যেনো কবুল করে এবং তার মেধাকে দ্বীনে কাজে লাগায় সে প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এইচ এম নাছরুল্লাহর। তিনি জানান, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এটি আমাদের জন্য গর্বের।

 

 

তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে।তিনি আরও জানান, এ প্রতিষ্ঠান নিয়ম-নীতি, শৃঙ্খলা, ছাত্রদের প্রতি যত্নশীলতা ও শিক্ষকবৃন্দের সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।