2:20 am, Saturday, 19 October 2024

কুড়িগ্রামে প্রচন্ড ঠান্ডায় বিপাকে শ্রমজিবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

রনবীর চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

 

কুড়িগ্রামে গত চারদিন ধরে শীতের দাপট বেড়েই চলছে।দিনের বেশির ভাগ সময়ে সূর্যের দেখা মিলছেনা। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজিবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

সাহেবের আলগার চরের কৃষক বোরকান বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত। কাজে বের হলে হাত-পা হীম(বরফ) হয়ে যায়। গরীব মানুষ কাজ না করলে তো আমাগো চলবো না। যত কষ্টই হোক কাজে যাওন লাগে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন নৌকা ঘাটের নৌকা চালক মোসলেম উদ্দিন জানায়, শীতের কারণে দশ হাত দূরের কোন কিছু দেখা যায় না। এ অবস্থায় নৌকা চালাতে অসুবিধা হয়। এক ঘন্টা দূরত্বের নৌপথ যেতে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে।শীত চলতে ফিরতে খুব সমস্যা।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন,জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।দুপুর থেকে শৈত্য প্রবাহ বইতে শুরু করার সম্ভবনা আছে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ইতিমধ্যে নগদ অর্থসহ ৩৯ হাজার ৫০০ কম্বল করা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রামে প্রচন্ড ঠান্ডায় বিপাকে শ্রমজিবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

Update Time : 05:08:26 am, Wednesday, 3 January 2024

 

রনবীর চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

 

কুড়িগ্রামে গত চারদিন ধরে শীতের দাপট বেড়েই চলছে।দিনের বেশির ভাগ সময়ে সূর্যের দেখা মিলছেনা। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজিবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

সাহেবের আলগার চরের কৃষক বোরকান বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত। কাজে বের হলে হাত-পা হীম(বরফ) হয়ে যায়। গরীব মানুষ কাজ না করলে তো আমাগো চলবো না। যত কষ্টই হোক কাজে যাওন লাগে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন নৌকা ঘাটের নৌকা চালক মোসলেম উদ্দিন জানায়, শীতের কারণে দশ হাত দূরের কোন কিছু দেখা যায় না। এ অবস্থায় নৌকা চালাতে অসুবিধা হয়। এক ঘন্টা দূরত্বের নৌপথ যেতে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে।শীত চলতে ফিরতে খুব সমস্যা।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন,জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।দুপুর থেকে শৈত্য প্রবাহ বইতে শুরু করার সম্ভবনা আছে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ইতিমধ্যে নগদ অর্থসহ ৩৯ হাজার ৫০০ কম্বল করা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে।