
এসএ গ্রুপের কর্ণধার ও এসএ পরিবহনের মালিক সালাহ উদ্দিন আহমেদ। মোটা অংকের করফাঁকি দিতে তার আয়কর আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকার কর অঞ্চল-৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুর সঙ্গে কোটি টাকার রফা করেন।
ঘুসের কোটি টাকার মধ্যে ৩৮ লাখ টাকা মিতুকে সালাহ উদ্দিন আহমদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এই ঘুসের বিনিময়ে মিতু সালাহ উদ্দিন আহমদের ১২ করবর্ষের আয়কর রিটার্নসহ এই করদাতার স্পর্শকতার নথি ওবায়দুল হক সরকারের হাতে তুলে দেন।
ওবায়দুল হক সরকার সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরামর্শে আয়কর ফাঁকি দিতে এসব রিটার্নে ২৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা করমুক্ত আয় সংযোজন করেন। শেষ রক্ষা হয়নি। প্রমাণ পাওয়ার পর ১ সেপ্টেম্বর ৩৮তম ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম কর অঞ্চল-৫, ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। যাতে ঘুসের বিনিময়ে নথি দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। দুদকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর অঞ্চল-৫, ঢাকার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ও ঘুস লেনদেনের মাধ্যমে বিধিবহির্ভূতভাবে আয়কর নথির সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ সংযোজন করে রাষ্ট্রীয় রাজস্বের ক্ষতিসাধনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয় হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিতে সাময়িক বরখাস্ত করা একজন সহকারী কর কমিশনার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে আয়করদাতার পুরনো আয়কর রিটার্ন এবং অন্যান্য দলিল হস্তান্তর সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।
প্রাথমিক যাচাইয়ে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। রেকর্ডপত্র বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।