ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ । ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি :

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলাধীন ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামে তাসনিম ফিলিং স্টেশন থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে মো. ফজলুর রহমান এর পুত্র মো. শফি আলম ও ময়মনসিংহ সদরের চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র মো. আবদুল মালেক যৌথভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ পুকুর ভাড়া নিয়ে পুকুরে বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষ করে ফিশারী ব্যবসা করে আসছিল।
শুকনো মৌসুমে পাশের পুকুরগুলোতে পানি কমে যাওয়ায় মটর ব্যবহারে পুকুরের পাড় ভেঙে যাওয়ার আশংকায় শফি আলম বৈদ্যুতিক মটর অন করে গোসল করতে এলাকার সকলকে নিযেধ করেন।
কিন্তু নিষেধ উপেক্ষা করে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল অনুমান ৩ টার দিকে অন্যান্যদিনের মতো ফিশারী সংলগ্ন বিবাদী সুরুজ আলী (৫৫), মো. তারু মিয়া(২৭), মো রমজান আলী(৩০), ও মো. মন্নাস আলী(৫০) ফিশারীর পাড়ে থাকা আমাদের বৈদ্যুতিক মটর অন করে গোসল করতে থাকতে দেখে তাদেরকে মটর অন করার কারণ জানতে চাইলে সুরুজ আলীর ডাকে বিবাদীগণ সকলে একযোগে বলতে থাকে তাদেরকে গোসল করতে না দিলে পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলবে এবং এর জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে বাবুল মিয়া, আ: সাত্তার ও অনিক মিয়াসহ আরও অনেকই ছুটে আসলে তাদের সামনেই আমার সাথে থাকা মাছের খাদ্যের বস্তা পানিতে ফেলে দেয়, আমকে দেখে নেবে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হমকি দেয়। আমি সাক্ষীসহ এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় ঐদিন সন্ধ্যায় ফিশারী থেকে চলে আসি। অদ্য বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকল ৭টার দিকে ফিশারীতে মাছ ভাসতে দেখে প্রাথমিকভাবে অক্সিজেনের ঘাটতি মনে করি। কিন্তু পুকুরে পানিতে ভাসমান মৃত অর্ধমৃত মাছ হাতে নিয়ে বিষের ঘ্রাণ অনুভব করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনদের জানিয়েছি।
এতে শফি আলম ও আব্দুল মালেক জানায়, এতে আনুমানিক ১৫(পনের) লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে ভিকটিম শফি আলম বাদী হয়ে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

প্রকাশ থাকে যে, খবর পেয়ে
দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান, সাংবাদিক মো. মাসুদ আলম ভূঞা, সাংবাদিক দিলীপ কুমার দাস ও ময়মনসিংহের বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম প্রমুখ।

প্রিন্ট করুন