নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ পোনরা গ্রামে দীর্ঘ ৩০–৩৫ বছর ধরে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ছিল স্থানীয় ১৫–২০টি পরিবারের একমাত্র ভরসা।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো ব্যবহার করে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করত। সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলোও একই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতো, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল সবসময়। বহুবার স্থায়ী কালভার্টের দাবি জানানো হলেও কোনো জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দল তাদের সমস্যার সমাধান করেনি।
অবশেষে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে এগিয়ে আসেন দেবিদ্বারেরই সন্তান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
স্থানীয় যুবশক্তির নেতা আব্দুল কাদের ও মুজিবুর রহমান বিষয়টি তার নজরে আনলে, তিনি দ্রুত সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তদবির চালান। তার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায় এবং পুরনো বাঁশের সাঁকো ভেঙে নতুন কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়—খালের ওপর নতুন কালভার্ট নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, আর এটি ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ ও স্বস্তি বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুনুর রশিদ, মো. মহসিন, খোরশেদ আলম, আনোয়ার গাজীসহ সবাই বলেন, “দীর্ঘ ৩০–৩৫ বছর ধরে আমরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করেছি।
বহু জায়গায় অনুরোধ করেও কোনো সাহায্য পাইনি। কিন্তু হাসনাত আবদুল্লাহ আমাদের কষ্টের কথা বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
স্থানীয়দের মতে, কালভার্টটি নির্মিত হলে দক্ষিণ পোনরা থেকে জোরপুল–গৌরসার সংযোগ সড়কের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হবে, বাড়বে নিরাপদ যাতায়াত ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ। বহু বছরের অপেক্ষার পর এই উন্নয়ন প্রকল্প এলাকাবাসীর জন্য যেন নতুন আশার আলো।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ । ৬:৫৫ অপরাহ্ণ