2:21 am, Saturday, 19 October 2024

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

 

মোঃ তোফায়েল আহমেদ , কুমিল্লা।

লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলার ৭নং এলাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল আমিন।

তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, স্বশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও আত্মদানকারী সকল শহীদদের, বীরাঙ্গনা মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগ ও যাদের বীরত্বের বিনিময়ে আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমি সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ৩০ লক্ষ শহীদ,২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত এ বিজয়। জাতীয় বিজয় দিবস। বিজয়ের এই দিনে সকল অপশক্তিকে রুখার প্রত্যয়ে ভেদাভেদ ভুলে মহামূল্যবান এই অর্জনকে কাজে লাগিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

নুরুল আমিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের অগ্রগতি হচ্ছে তা আজ ইতিহাস সাক্ষী। যেখানে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পদ্মা সেতুর কথা শুনে। কিন্তু আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। আজ তা দৃশ্যমান। এটাই হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সবাই প্রধানমন্ত্রী প্রতি আস্থা রাখুন তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি আস্থা রাখুন।

নুরুল আমিন আরো বলেন, সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন বিজয়ের মাস, গৌরবের মাস ডিসেম্বর সমাগত। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের, সেই সঙ্গে বেদনারও, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলের সম্মিলিত রক্তস্রোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অভিন্ন লক্ষ্যে অবিচল আত্মত্যাগকারী আস্থাভাজন ত্যাগী নেতা ও কর্মী।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। যে নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার সেই মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি ৪৯তম বিজয়ের বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ ৪র্থ বারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রায়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অর্থনৈতিক ও সামজিক উন্নয়নসহ তার বহুমাতৃক অবদান আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

পরিশেষে আমার ইউনিয়ন এলাহাবাদ যেটা একটা আমার ফ্যামিলি, এই ফ্যামিলির সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, এলাহাবাদ তথা দেবিদ্বার এর সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

Update Time : 02:39:47 pm, Wednesday, 13 December 2023

 

মোঃ তোফায়েল আহমেদ , কুমিল্লা।

লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলার ৭নং এলাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল আমিন।

তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, স্বশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও আত্মদানকারী সকল শহীদদের, বীরাঙ্গনা মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগ ও যাদের বীরত্বের বিনিময়ে আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমি সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ৩০ লক্ষ শহীদ,২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত এ বিজয়। জাতীয় বিজয় দিবস। বিজয়ের এই দিনে সকল অপশক্তিকে রুখার প্রত্যয়ে ভেদাভেদ ভুলে মহামূল্যবান এই অর্জনকে কাজে লাগিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

নুরুল আমিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের অগ্রগতি হচ্ছে তা আজ ইতিহাস সাক্ষী। যেখানে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পদ্মা সেতুর কথা শুনে। কিন্তু আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। আজ তা দৃশ্যমান। এটাই হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সবাই প্রধানমন্ত্রী প্রতি আস্থা রাখুন তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি আস্থা রাখুন।

নুরুল আমিন আরো বলেন, সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন বিজয়ের মাস, গৌরবের মাস ডিসেম্বর সমাগত। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের, সেই সঙ্গে বেদনারও, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলের সম্মিলিত রক্তস্রোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অভিন্ন লক্ষ্যে অবিচল আত্মত্যাগকারী আস্থাভাজন ত্যাগী নেতা ও কর্মী।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। যে নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার সেই মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি ৪৯তম বিজয়ের বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ ৪র্থ বারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রায়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অর্থনৈতিক ও সামজিক উন্নয়নসহ তার বহুমাতৃক অবদান আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

পরিশেষে আমার ইউনিয়ন এলাহাবাদ যেটা একটা আমার ফ্যামিলি, এই ফ্যামিলির সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, এলাহাবাদ তথা দেবিদ্বার এর সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।