11:16 am, Saturday, 19 October 2024

রৌমারীতে সিএনজির চাঁদা বন্ধের পর আবার চালুর অভিযোগ

 

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দীর্ঘদিন থেকে অসহায় সিএনজি, পিকআপ ভ্যান ও নসিমনসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে ওপেন উপজেলা খাদ্য গুদাম সংলগ্ন সিএনজি স্টান্ড থেকে চাঁদা আদায় করা হতো। এতে নিরুপায় হয়ে চালক ও মালিক উভয় পক্ষ বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ্যাডঃ বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি হিসাবে জয়লাভ করার পর সকল প্রকার চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করার জন্য উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলামকে নির্দেশ দিলে তা বন্ধ করে দেন তিনি। এতে শতাধিক চালক ও মালিক চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ ঘোষণার পর সস্তি ফিরে আসে এবং সংসদ সদস্যকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায় বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ মানুষ।

জানা গেছে, রৌমারী সদর, বড়াইকান্দি, দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী, কর্তিমারি, সায়দাবাদ, রাজিবপুর বটতলাসহ প্রায় শতাধিক সিএনজি পিকআপ ভ্যান ও নসিমন নামের যানবাহনের কাছ থেকে বিগত ৫ বছর ধরে সাবেক সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তার কিছু অনুসারি সিএনজি স্ট্যান্ডে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতো।

স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক চাঁদা বন্ধের আশ্বাস দেন তিনি। পরে এ্যাডঃ বিপ্লব হাসান পলাশ গত ৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলামের মাধ্যমে সিএনজি স্ট্যান্ডের সকল জিপি নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেন।

বিধিবাম, ২০ দিন যেতে না যেতেই বন্ধ করে দেয়া সিএনজি স্টান্ড থেকে আবারও সেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম ট্রাফিক সার্জেন্ট ইনচার্জকে ম্যানেজ করার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার জিএস গাড়ির চালক জাবেদের মাধ্যমে সিংহ প্রতিকের রশিদ দিয়ে চাঁদা চাওয়া হয়। বিষয়টি মুহূর্তে জানা জানি হলে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইনচার্জ আব্দুল হাই সংবাদ পায়। পরে সিএনজি স্টান্ড থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁদা উত্তোলনের দায়িত্বরত জিএস চালক জাবেদকে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায় ।

এব্যাপারে শেরপুর থেকে আসা সিএনজি চালক সাংবাদিকদেরকে আজাদ, কাজল, জামালপুরের কাজল, শেরপুরের শাকিল, রৌমারীর শাহিন, লিটনসহ অনেকে জানায় চাঁদাবাজরা দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক বিভিন্ন হারে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো। আমরা এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। চাঁদা দিতে রাজি না হলে অসংখ্য চালককে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন তারা। আমরা পেটের দায়ে সিএনজি চালিয়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বেচে থাকি। এই চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে রৌমারী ও রাজিবপুর দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ইনচার্জ আব্দুল হাইকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি পাশ কাটিয়ে যান বএং বলেন সামনা সামনি আসেন কথা বলি।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ বিপ্লব হাসান পলাশ এমপির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ হয়নি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

রৌমারীতে সিএনজির চাঁদা বন্ধের পর আবার চালুর অভিযোগ

Update Time : 10:57:09 pm, Monday, 26 February 2024

 

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দীর্ঘদিন থেকে অসহায় সিএনজি, পিকআপ ভ্যান ও নসিমনসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে ওপেন উপজেলা খাদ্য গুদাম সংলগ্ন সিএনজি স্টান্ড থেকে চাঁদা আদায় করা হতো। এতে নিরুপায় হয়ে চালক ও মালিক উভয় পক্ষ বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ্যাডঃ বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি হিসাবে জয়লাভ করার পর সকল প্রকার চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করার জন্য উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলামকে নির্দেশ দিলে তা বন্ধ করে দেন তিনি। এতে শতাধিক চালক ও মালিক চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ ঘোষণার পর সস্তি ফিরে আসে এবং সংসদ সদস্যকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায় বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ মানুষ।

জানা গেছে, রৌমারী সদর, বড়াইকান্দি, দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী, কর্তিমারি, সায়দাবাদ, রাজিবপুর বটতলাসহ প্রায় শতাধিক সিএনজি পিকআপ ভ্যান ও নসিমন নামের যানবাহনের কাছ থেকে বিগত ৫ বছর ধরে সাবেক সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তার কিছু অনুসারি সিএনজি স্ট্যান্ডে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতো।

স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক চাঁদা বন্ধের আশ্বাস দেন তিনি। পরে এ্যাডঃ বিপ্লব হাসান পলাশ গত ৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলামের মাধ্যমে সিএনজি স্ট্যান্ডের সকল জিপি নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেন।

বিধিবাম, ২০ দিন যেতে না যেতেই বন্ধ করে দেয়া সিএনজি স্টান্ড থেকে আবারও সেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম ট্রাফিক সার্জেন্ট ইনচার্জকে ম্যানেজ করার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার জিএস গাড়ির চালক জাবেদের মাধ্যমে সিংহ প্রতিকের রশিদ দিয়ে চাঁদা চাওয়া হয়। বিষয়টি মুহূর্তে জানা জানি হলে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইনচার্জ আব্দুল হাই সংবাদ পায়। পরে সিএনজি স্টান্ড থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁদা উত্তোলনের দায়িত্বরত জিএস চালক জাবেদকে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায় ।

এব্যাপারে শেরপুর থেকে আসা সিএনজি চালক সাংবাদিকদেরকে আজাদ, কাজল, জামালপুরের কাজল, শেরপুরের শাকিল, রৌমারীর শাহিন, লিটনসহ অনেকে জানায় চাঁদাবাজরা দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক বিভিন্ন হারে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো। আমরা এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। চাঁদা দিতে রাজি না হলে অসংখ্য চালককে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন তারা। আমরা পেটের দায়ে সিএনজি চালিয়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বেচে থাকি। এই চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে রৌমারী ও রাজিবপুর দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ইনচার্জ আব্দুল হাইকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি পাশ কাটিয়ে যান বএং বলেন সামনা সামনি আসেন কথা বলি।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ বিপ্লব হাসান পলাশ এমপির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ হয়নি।