মোঃ রিপন শেখ ভাংগা ফরিদপুর প্রতিনিধি।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়কের র্যাব ও ডিবি পরিচয়ে ২ যুবককে লোকাল বাস থেকে নামিয়ে তাদের নিকট থেকে ২৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও নগদ ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
এ ঘটনা ভাঙ্গা ও শ্রীনগর থানায় পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় র্যাব, ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনার ঘটে ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার স্বত্বাধিকারী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বগাইল গ্রামের কবির শেখের ছেলে আতিকুল ইসলাম ।এবিষয় জানান, রবিবার দুপুরে ইসলামী ব্যাংক ভাঙ্গা শাখা থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করে লোকাল বাসে চড়ে ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া আমার এজেন্ট ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। এ মধ্যে পুখুরিয়ার কাছাকাছি মাধুপপুর ব্রীজের কাছাকাছি পৌছালে পিছন থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে একদল লোক র্যাব পরিচয় দিয়ে বাসটি পথ গতিরোধ করে । এরপর বাসে উঠে আমাকে মারধর শুরু করে। এবং টাকার ব্যাগ সহ আমাকে নামিয়ে তাদের মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫২-৬৪৯৭) উঠায়। পরে র্যাব পরিচয়ধারী ব্যাক্তিরা আমাকে বেদম মারপিট শুরু করে টাকা- পয়সা কেড়ে নিয়ে আহত অবস্থায় ঝাটুকদিয়া এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।
এ ঘটনায় আমি শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ দেই । রোববার জানতে পারি ভাঙ্গা থানায় একটা ছিনতাইচক্র ধরা পড়েছে, তাই ভাঙ্গা থানায় এসেছি।এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ জানান, আতিকুল পুখুরিয়া বাজারে ইসলামী ব্যাংকের একটি এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনা করেন। রবিবার দুপুরে ভাঙ্গা ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে লোকাল বাসে পুখুরিয়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে র্যাব পরিচয়ে
তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গোপালগঞ্জ সড়কে রাস্তার পাশে তাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে আমরা চার দিকের রাস্তা ঘিরে ফেলি। এ সময় র্যাব পরিচয়ধারী তাদের ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। আমরা তাদের ধাওয়া করলে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার নিকট ফিডার সড়কে গাড়ি রেখে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় গাড়িটিকে জব্দ করে গাড়ির মধ্যে থেকে ৮ টাকার আটটি বান্ডিল ও ১০০ টাকার কিছু জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে । ভুয়া র্যাব ও ডিবি পরিচয়দানকারী চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে।