সওজে কমিশন বাণিজ্যের নতুন কাণ্ডারি নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান

দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান যেন এক ‘কাজের কাজী’। তবে কাজ নয়, ঠিকাদারদের পকেট চিরে নিজের সম্পদ ফোলানোই যেন তার প্রকৌশলগত দক্ষতা! ২৭তম বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও, এর আগেই বগুড়ায় তার কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বহু দূর।
বগুড়ায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রতি প্রকল্পে ৫% ভাগ দাবি করতেন—এমন অভিযোগ আজ ওপেন সিক্রেট। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সেখানে ভূয়া সাপ্লাই টেন্ডার বানিয়ে কাগুজে বিল তৈরি করে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। স্থানীয় কিছু ‘অনুগত’ ঠিকাদারকে দিয়ে ম্যানেজিং টেন্ডার করিয়ে সরকারিভাবে কাজের নামে চালিয়েছেন লুটপাটের মহোৎসব।
দিনাজপুরে আসার পর সেই একই মডেল—কেবল পটভূমি বদলেছে, চরিত্রের রঙ আরও ঘন হয়েছে। সওজের অধীনে চলমান নানা প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার, কিন্তু আসাদুজ্জামান নির্বিকার। বরং শোনা যাচ্ছে, দিনাজপুরে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি কমিশন সিন্ডিকেট—যেখানে প্রতি প্রকল্পে নির্ধারিত হারে কমিশন না দিলে কাজই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন বিভাগের কয়েকজন অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা এবং কিছু ‘বিশেষ সুবিধাভোগী’ ঠিকাদার।
সওজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা যেখানে রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার, সেখানে একজন উচ্চপদস্থ প্রকৌশলী কীভাবে সরাসরি কমিশনের ব্যবসা চালাতে পারেন—তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সচেতন মহলের কাছে। অথচ দায়মুক্তির নিরাপদ চাদরে মোড়া থাকায় আসাদুজ্জামানের মতো কর্মকর্তা এখনও নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন তার দুর্নীতির সাম্রাজ্য।
চলবে…