খুঁজুন
বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

মতলব উত্তর পিআইও অফিস যেন ঘুস-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
মতলব উত্তর পিআইও অফিস যেন ঘুস-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা পযার্য়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসটি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যৌথ সমন্বয়ে পরিচালিত হয়।
ফিল্ড লেভেলে ৮০% কাজ তদারকি করার দায়িত্ব পিআইও ১০% জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার এবং ১০% উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। মতলব উত্তর উপজেলা বর্তমান পিআইও মোঃ সেলিম খান, সে ২০২৪ সালে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি ছিলেন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায়।

যেখানে ছিল বরাদ্দের ছড়াছড়ি। যে উপজেলায় নাম মাত্র ৪০% কাজ হলে ৩০% টাকা ঘুষ নিয়ে বিল ছেড়ে দিয়ে সকল বিল থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার এই অনিয়মের ও দূর্নীতির বিষয়ে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে ।
দুদকে অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন এই কর্মকর্তা।
যার রয়েছে আফতাবনগর ১০ কাঠা জমির উপর ভবন নির্মাণ কাজ চলমান। যার জমি মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। উত্তরায় রয়েছে একাধিক ফ্লাট। গ্রামের বাড়ি গজারিয়ায় কিনেছে ১০ একর জমি।

সেই ধারাবাহিকতায় দাউদকান্দি মতলব উত্তর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার ঘুষের পরিমান দিনদিন বেড়েই চলছে।
জানাযায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা/কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে কাবিটা ১৬৬৮৬১২০/- চাল ১১৯ মেট্রিক টন এবং গম ১১৯ মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া যায়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচীর ১৫৮৫৬১১৩/- টাকা এবং ৩য় পর্যায়ে কাবিটা ৮৩৪৩০৬০/- চাল ৪৭ মেট্রিক টন এবং গম ৪৭ মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া যায়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচীর ৫৯২৮০৫৬/- টাকা আওতায় সে আলোকে ইউনিয়ন পর্যায় হতে প্রকল্প প্রেরন পরর্বতীতে উপজেলা পরিষদের মিটিং এ যাচাই-বাছাই করে জেলা কর্ণধার মিটিং এ প্ররণ করে অনুমোদিত হয়ে উপজেলা আসে। তাছাড়া পরিপত্র মোতাবেক উপজেলা পিআইও এবং ইউএনও ২০% রিজার্ভ বরাদ্দ রাখতে পারে সেটা ইউনিয়ন এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু পিআইও উপজেলার কলাকান্দা এবং এখলাসপুর নামক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাথে যোগসাজশে রিজার্ভ বরাদ্দ এর বেশিরভাগ টাকা সে দুটি ইউনিয়ন পরিষদের দেখিয়ে নামে মাত্র কাজ করে হাতিয়ে নিতেছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সকল প্রকল্প ইউনিয়ন থেকে ৫/৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে জনপ্রতিনিধিদেরকে সভাপতি করে কাজ শুরু করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১ম চলতি বিল অগ্রিম প্রদান করবে। ইউএনও পিআইও এর যৌথ স্বাক্ষরে পিআইসি সভাপতিকে বিল প্রদান করবে । সে অনুযায়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিল পাশ করে সভাপতির হাতে পোঁছাবে । ব্যাংক থেকে সভাপতি নিজ স্বাক্ষরে বিল উত্তোলন করবে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ বিল স্বাক্ষর করে নিজেই হিসাব রক্ষন অফিস থেকে পাশ করে নিজে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ১৫/২০% টাকা কেটে নেন। পরর্বতীতে পিআইসি সভাপতিকে বিল প্রদান করে।
গম চাল থেকে টন প্রতি ৫০০০/- টাকা দিতে বাধ্য করেন।
এ বিষয়ে পিআইসি বলেন এটা কিসের টাকা রাখলেন? তখন তিনি বলেন এটা সরকারি ভ্যাট আইটি। কিন্তু সরকারি পরিপত্র মোতাবেক টিআর/কাবিটা কোন ভ্যাট আইটি কর্তন হয় না। এটা তারা ঘুষ হিসেবে চালিয়ে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানের সাথে পিআইসি সভাপতি/মেম্বারগনের সাথে কথা বললে এগুলোর সত্যতা জানা যায়।
সবার মনে প্রশ্ন ৫ই আগষ্টের আগে তো এগুলো নামে মাত্র ৩%-৪% টাকা নিতো এখন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট সরকারের উপজেলার পিআইও মতলব উত্তর উপজেলায় আসার পর থেকে কেন ২০% টাকা আদায় হচ্ছে।
তাছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ঝগঙউগজচঅ প্রকল্পের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে একাধিক চেয়ারম্যান/মেম্বারদের অভিযোগ রয়েছে তারা জানান,
সালাউদ্দিন আহমেদ সাইড ভিজিটে গেলে দশ টাকার নিচে সাইড ভিজিট ছাড়া আসে না। জানা যায়, ৩০শে জুন ২০২৪ সালের তাদের সারা বাংলাদেশ একযোগে চাকরী মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হলেও সে এখনও আগের চেয়ারে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিভিন্ন ফাইলে স্বাক্ষর করতেছে।
তাকে টাকা দিলে বিল দ্রুত হবে না হয় বিল ঘুরাবে বাস্তবে তাই হচ্ছে । ১ম বিল অগ্রিম হবে কাজ শুরু করার জন্য কিন্তু তা হচ্ছে না। এদিকে বর্ষার মৌসুম দ্রুত চলে আসতেছে বৃষ্টির সময় কাজের খরচও বেশি পিআইসি সভাপতিকে বারবার ঘুরাচ্ছে।
তাদের সাথে পিআইও সেলিম খান অবৈধ ব্যবহারে তারা আরোও বেশি কষ্ট পাচ্ছে। পরিপত্র মোতাবেক কাজ না করে নিজের আইনে অফিস পরিচালনা করেন এই কর্মকর্তা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাকা আদায় এবং নগদ টাকা বিতরনের মূল দায়িত্বে রয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি তিনি মূলত অফিস করেন না আর টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না।
টিআর কাবিখা কাবিটা থেকে ২০% পর্যন্ত টাকা আদায় করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ এর মাধ্যমে।
এবিষয়ে পিআইও সেলিম খানের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি। পরর্বতীতে স্বাধীন ভোরের প্রতিবেদক তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, আমি আজকে অফিসে আসিনি রবিবার অথবা সোমবার আসবো তখন আপনার সাথে কথা বলবো।

এবিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চাঁদপুরের জেলাপ্রশাসকের সাথে যোগাযোগের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

চাঁদপুরের মতলব থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ। 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
চাঁদপুরের মতলব থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ। 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সালেহ আহাম্মদ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের, মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ইমন (৪২) ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বুধুগ্ধা গ্রামের ছন্দু মুন্সির ছেলে রায়হান মিয়া ওরফে মেহেদী (৩০)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদের নির্দেশনায় উপপরিদর্শক জীবন চৌধুরী ও  সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশের একটি দল মতলব দক্ষিণ থানাধীন নায়েরগাঁও এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়.

এসময় ইমন ও রায়হান নামে দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, তাদের কাছে মাদক রয়েছে। পরে পুলিশ তল্লাশি করে ৫ (পাঁচ কেজি) গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পরে তাদেরকে মাদক আইনে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১

ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর ইমারত পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বরিশালের সাবেক এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর প্রভাব খাটিয়ে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে রাজউকে চাকরি বাগিয়ে নেন কামরুজ্জামান। ঘুষ লেনদেনের এই লোমহর্ষক অভিযোগ নিয়েই তিনি ইমারত পরিদর্শক পদে নিয়োগ পান এবং শুরু হয় তার ‘দুর্নীতির রাজত্ব’।

 

ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত থাকা কামরুজ্জামান রাজনৈতিক প্রভাবের ছত্রছায়ায় নিজেকে নিয়োগ তালিকার শীর্ষে তুলে আনেন। রাজউকে যোগদানের পরপরই তিনি জোন-৬ এর দায়িত্বে থেকে ডেমরা এলাকায় এক ভিন্নমাত্রার চাঁদাবাজি কৌশল শুরু করেন। সেখানে রাজউকের ড্যাপ অনুযায়ী কৃষি জমিতে কোনোভাবেই ভবন নির্মাণ বৈধ নয়। অথচ সেই জমিতে গড়ে ওঠা ভবনগুলোর মালিকদের মোবাইল কোর্ট ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে তিনি আদায় করে নেন ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা করে ‘চুপ থাকার মাশুল’।

 

কোনো ভবনের মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করলেই শুরু হতো তাঁর প্রতিশোধপরায়ণ অভিযান। জারি করতেন ২সি নোটিশ, মিটিং করতেন থানায়, তারপর মোবাইল কোর্ট চালিয়ে আরোপ করতেন মোটা অঙ্কের জরিমানা। এখানেই শেষ নয়—ভবনের বিদ্যুৎ মিটার খুলে নিয়ে গিয়ে পুনঃসংযোগের জন্য আদায় করতেন আলাদা চাঁদা। নির্মাণাধীন ভবনের সামান্য ভুলত্রুটিকে ইস্যু করে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করতেন মালিকদের। চলতো অর্থ হাতানোর নির্লজ্জ মহোৎসব।

 

তাঁর চাঁদাবাজির কৌশলে অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বহু ভবনে রাজউকের অনুমোদন নেই, তথ্যাদির বোর্ড নেই, নিরাপদ বেষ্টনি নেই—তবুও ভবন নির্মাণ চলছে নির্লজ্জভাবে, কামরুজ্জামানের আশীর্বাদে। কেউ টাকায় রাজি হলে চোখ বন্ধ, কেউ রাজি না হলে আইন প্রয়োগ।

 

বর্তমানে তিনি উত্তরা জোন-২/২-এ মারদ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। অবস্থান বদলেছে, কিন্তু বদলায়নি চরিত্র। এখনো জোন পরিবর্তন করে নিজের ক্ষমতা ও যোগাযোগকে ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে চলেছেন নিরীহ নাগরিকদের কাছ থেকে।

 

রাজউকের মতো একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ যদি এভাবে রাজনৈতিক প্রভাব ও ঘুষের বিনিময়ে হয়, তাহলে সেখানে আইনের শাসনের আশা করাটাই কি ব্যর্থতা নয়? মোঃ কামরুজ্জামানের মতো কর্মকর্তারা শুধু রাজউকের নয়, গোটা রাষ্ট্রের জন্যই এক কলঙ্কচিহ্ন। তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এই দৃষ্টান্ত আরও অনেক দুর্নীতিবাজকে উৎসাহিত করবে।

 

বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায়…

ডিপিডিসিতে আওয়ামী দোসর প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক | পর্ব -০১ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ডিপিডিসিতে আওয়ামী দোসর প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক | পর্ব -০১ 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর এক প্রকৌশলী, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাসলীগাঁও গ্রামের সন্তান আব্দুর রাজ্জাক—একদিকে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত দানবীর, অন্যদিকে সরকারি কাঠামোর আড়ালে গড়ে তোলা দুর্নীতির অবিশ্বাস্য এক সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে থাকা বিতর্কিত নাম। সরকারি প্রকৌশলীর সীমিত বেতন দিয়ে শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড় কীভাবে গড়ে উঠল, সে প্রশ্নে আজ জনমনে দানা বাঁধছে বিস্ময় ও ক্ষোভ।

 

হাসলীগাঁও গ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন দোতলা মসজিদ, মাদ্রাসা, পাঁচ একর জমির ওপর বিলাসবহুল বাড়ি, মাছের খামার—সব মিলিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে একজন দানবীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অথচ এসব সম্পদের উৎস নিয়ে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। অভিযোগ অনুযায়ী, নিজের মালিকানাধীন কোম্পানি ‘ওসাকা পাওয়ার লিমিটেড’-এর নিম্নমানের সাব-স্টেশন ও ট্রান্সফরমার জোরপূর্বক গ্রাহকদের কিনতে বাধ্য করে তিনি গড়ে তুলেছেন এই বিলাসবহুল জীবনযাত্রা।

 

মগবাজার ডিভিশনে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে থাকাকালেই নিয়ম ভেঙে বিশেষ পন্থায় এক লাফে দুই ধাপ এগিয়ে তিনি হন সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী। এরপর ভাকুর্তা এলাকায় ৩০ কাঠা জমিতে নির্মাণ করেন ‘ওসাকা পাওয়ার লিমিটেড’-এর সাব-স্টেশন কারখানা, যার স্বরূপ এখন আর বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট নয়—ভাড়া দেওয়া হয়েছে কাঠের দরজার কারখানাকে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চন্দ্রিমা মডেল টাউনে দুটি বহুতল ভবন, গাজীপুরে বহুতল ভবন, শেরপুর শহরের তিনআনি বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোতলা ভবন, দীঘারপাড়ে ছয় একর জমির ওপর মাছের খামার, আর দুটি পলিটেকনিক—এসবই আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা।

 

২০১৬ সালের এক প্রকল্পে ওসাকার ৩০০ ট্রান্সফরমার সরবরাহ করা হলে ১৯১টিকে চিহ্নিত করা হয় সম্পূর্ণ মানহীন হিসেবে। পরিণামে বিভিন্ন এলাকায় এসব ট্রান্সফরমারের কারণে ঘটে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা। ডিপিডিসির উপসহকারী প্রকৌশলীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তারা জানতেন এসব ট্রান্সফরমার ঝুঁকিপূর্ণ, তবু গ্রাহকদের বাধ্য করতেন সেগুলো কিনতে। তদন্তে দায়ী হিসেবে উঠে আসলেও রাজ্জাকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

 

২০২২ সালে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ডিপিডিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল। আটজনকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট দেওয়া হলেও শুধুমাত্র প্রধান অভিযুক্ত রাজ্জাক থেকে যান বহির্ভূত। বরং সেই তদন্তের খেসারত হিসেবে মোস্তফা কামাল পদোন্নতির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হন, তার জুনিয়রকে করা হয় প্রধান প্রকৌশলী। তার ভাষায়, “এই তদন্ত কমিটিতে থাকায় আমি সাফারার।”

 

আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, যার ছত্রচ্ছায়ায় বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ—সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন। ঢাকার অনুষ্ঠান হোক কিংবা শেরপুর-ময়মনসিংহে কোনো সমাবেশ—ডিপিডিসির প্রকৌশলীদের থেকে নিয়মিত বড় অঙ্কের চাঁদা তুলতেন। এমনকি ১৫ আগস্ট বদলির আদেশ জারি হলেও ২৬ দিনের মাথায় বাতিল করে আবার পুরোনো পদে ফেরানো হয় তাঁকে। আর প্রকৌশলীদের বিক্ষোভে সেই দিনই তাকে বদলি করা হয় ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে।

 

রাজধানীর পান্থপথে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়ে গড়ে তোলেন করপোরেট অফিস। ওসাকার নামে সরবরাহ করা নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এই টাকা দিয়েই তিনি হয়েছেন ‘দানবীর রাজ্জাক’—মসজিদ-মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক, অথচ ভেতরে এক নিষ্ঠুর সিন্ডিকেটপ্রধান।

চাঁদপুরের মতলব থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।  ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১ ডিপিডিসিতে আওয়ামী দোসর প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক | পর্ব -০১  আওয়ামী দোসর কায়সার কবির: দুর্নীতির বিষবৃক্ষ গেড়ে গড়েছেন কোটি টাকার সাম্রাজ্য মডেল মসজিদ মেরামতের টেন্ডার বানিজ্যের সাথে জড়িত  গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুজ্জামান চুন্নু। উপদেষ্টা মাহফুজের সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন সিডনিতে, ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ! হোসাইন মোহাম্মদ দিদার কবিতার ভুবনে এক যাদুকরী নাম ডিপিডিসিতে আওয়ামী দোসর প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক | পর্ব -০১  রাজউকে আওয়ামী দোসর সোহাগ মিয়ার হরিলুট : ০২  রাজউকের ‘ছদ্মবেশী দস্যু’: জোন-৪/২–এর ইমারত পরিদর্শক সোহাগ মিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা ডাবল বিল থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত: নির্বাহী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ | পর্ব-০১ রাজউকে লিটন সরকারের স্বৈরাচারী আধিপত্যে বিপন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা | পর্ব-০১  গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুরের হরিলুট | পর্ব-০১ নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশারের হাতে জিম্মি ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ | পর্ব-০১ বগুড়া সওজে অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক আবুল মনসুর আহমেদ | ৩য় পর্ব মানিকগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলমের হরিলুট | পর্ব-০১ রাজউকের মাহবুবার রহমানের দুঃসাহসিক দুর্নীতির সাম্রাজ্য | পর্ব-০১ বগুড়া সওজে অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক আবুল মনসুর আহমেদ | ২য় পর্ব  সাবেক এমপি সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন ও পৌর মেয়র নাঈম ইউসুফ সেইনের নামে হত্যা মামলা হালিশহরের ‘ইয়াবা সম্রাট’ নিরব হোসেন | পর্ব-০১ কুমিল্লায় বিদোশ পিস্তলসহ বিএনপির নেতা গ্রেফতার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা বগুড়া সওজে অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক আবুল মনসুর আহমেদ অস্ত্র কেনার টাকা কোথায় পেলেন আসিফ—প্রশ্ন জুলকারনাইন সায়েরের কুমিল্লায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হিন্দু তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ বিএনপি নেতা ফজর আলীর বিরুদ্ধে।