খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

হোসাইন মোহাম্মদ দিদার কবিতার ভুবনে এক যাদুকরী নাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১:০২ পূর্বাহ্ণ
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার কবিতার ভুবনে এক যাদুকরী নাম

তৌফিক রুবেল :

বুক পকেট মৃত্যু নিয়ে এই জনপদের এক কবি ঘুরছেন রাতবিরেত। বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে কী শুধু কবিই ঘুরে! কে মৃত্যু বুকে না নিয়ে ঘুরে? মৃত্যু বুকে নিয়ে ঘুরে রাজা থেকে প্রজা, ফেরিঅলা, ফুল ও ফল বিক্রেতা। মূলত সৃষ্টি মানেই লয়। আমরা প্রকৃতার্থে বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ঘুরছি।আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে নীরবে কবিতার আলোয়ে ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করে তুলছেন এই সমাজের এক তরুণ তুর্কী হোসাইন মোহাম্মদ দিদার। তিনি কবিতা লিখে চলছেন প্রায় দুই যুগের অধিক সময় ধরে। তার কবিতায় সুফিবাদের তীব্র দর্শন পরিলক্ষিত।

যে একবার তার এই সুফিবাদে অবগাহন করেছে; সে জানে খোদ তার কবিতা মুধুময় অমিয় স্বাদে ভরপুর। তার হাতের লেখায় ইসলামি দর্শন যেন কমন। তিনি তার দর্শনে রাষ্ট্র, সমাজ সংক্রমণের কথা বলার পাশাপাশি, তা থেকে পরিত্রাণের কথাও চমৎকারভাবে বন্দনা করেছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ এ পর্যন্ত ৭ টি।

এরমধ্যে থেকে সবকটি কবিতার বইয়ে খোদাপ্রেম, খোদা ভীতি, নবী প্রেম দেখতে পাই। সর্বশেষ প্রকাশিত কবির তিনটি কবিতার বই— অন্যরকম মেঘ, সে ফিরবে না আর ও বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ঘুরি।

এই তিনটি গ্রন্থের ভিতরে যাপিত জীবনের সকল ক্ষত আরগ্য হওয়ার মত নির্যাস রয়েছে। তিনি তার সর্বশেষ প্রকাশিত” বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ঘুরি ” কাব্যগ্রন্থে একটি কবিতায় লিখেছেন, ‘আমি তো চেয়েই এনেছি তোমার থেকে দুঃখ/ সইতে যেন পারি প্রস্তুত করো আমার বক্ষ। মানুষ যখন দুঃখে থাকে তখন সেটা রবের পক্ষ থেকেই উপহার হিসেবে আসে, একথাই কবি তার লিখিত কাপলেটে বুঝাতে চেয়েছেন।

এবং সেই দুঃখ যদি পাহাড়সমও হয় তা যেন সহ্য করতে পারেন সেজন্য রবের প্রতি প্রার্থনাও জানিয়েছেন। দোযখ নামে আরেকটি কাপলেটে কবি লিখেছেন, ‘নাচে চোখের সামনে দোজখ / অথচ বেহেশত যাওয়ার শখ’।আসলে আমাদের পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে যেন ঘর থেকে বের হলেই বেলেল্লাপনা চোখের সামনে এসে উপস্থিত হয়।

এই অবস্থায় মানুষের ঈমান ধরে রাখা কতোটা কঠিন সেই কথাটিই কবি তার কাব্যিক ভাষায় বলেছেন। এভাবেই নানান উপমা আর ছন্দেবন্দে কালের কথা বলেছেন। স্রস্টার অস্তিত্বের জানান দিতে গিয়ে কবি তার সৃষ্টি ‘মিরাকল’ নামক কবিতায় লিখেছেন পৃথিবীর মিরাকল বলতে যদি কিছু থাকে সেটা তো— ‘তুমিই’। আসলেই তো দুনিয়ায় সবচেয়ে রহস্যময় ও আশ্চর্যের বিষয়তো স্রস্টাই।

নবির প্রেমের জানান দিতে ‘আমিনা মায়ের কোলে’ নামক কবিতায় তিনি লিখেছেন—”সেই ফুলের খুশবু মেখে/ পথ চলিব হেসেহেসে; সেই ফুলেতে প্রাণ সপেছি/ সকল কিছু ভুলে।”নবি প্রেম একটা নিঃস্ব মানুষকে আশা জাগায়, আলোকিত জীবন উপহার দেয়। তার লেখায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নবি প্রেমে নিজেকে সপে দিতে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করবে।বলাবাহুল্য জীবন যার কবিতা সঙ্গী।

যার কবিতা দুঃসময়ে হয়ে ওঠে হাতিয়ার। পথ দেখায় আলোর। ভাঙা হৃদয় করে একত্রীকরণ। অবচেতন বিবেকে করে তুলে জাগ্রত। তরুণ এই তুর্কীর হাতে কবিতার মশাল।বিশেষ করে গেল বছর-২৪ গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমির বিষয়টিকে কবি এভাবে বলেছেন বিপ্লবীদের যখন মৃত্যু বুক পকেটে থাকে। দেখা গেছে ঐ সময়টা একটা অনিশ্চিত সময়। মানুষ জীবন নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হতো।

কুরআন-হাদীসে মৃত্যুর কথা বারবার স্মরণ করার তাগিদ দিয়েছেন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল(সা.)। তবে কবিতার মাধ্যমে মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে দিয়েছেন এ কবি বারংবার । তার ‘বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ‘ কাব্যগ্রন্থটি যে একবার পড়বে সে আর স্থির থাকতে পারবে না। বারবার নিজেকে হারাবে মৃত্যুর গহ্বরে।

ঐসব সমসাময়িক নানান বিষয়ে মহুয়া কবিতার শব্দে বন্দে ছন্দে স্রস্টা, নবি প্রেম, মানবিক প্রেম,সুফিজম, মাটি ও মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করে লেখা তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো একদিন মানুষের হৃদয় জয় করবে এমনটাই ধারণা করা যায়। ইসলামি রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ, আল-মাহমুদ কিংবা মতিউর রহমান মল্লিক যে পথে হেঁটেছেন। বলা যায়, তরুণ কবি হোসাইন মোহাম্মদ দিদার অনেকটাই সেই পথ ধরেই হাঁটছেন। ক্লান্তিহীন এই পথচলা কবিকে একদিন হয়তো অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

কবি চান কবিতার মাধ্যমে একটি মানবিক পৃথিবীর কথা বলতে,বারবার নবি প্রেম ও খোদা প্রেম কিংবা দেশ প্রেমের বিশদ বর্ণনা ফুটে ওঠেছে তার সব কবিতায় ও প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থে।মানুষের ভাষা বুঝে, দাবি বুঝে লেখার সক্ষম কবি হিসেবে ইতিমধ্যে পাঠকের মনমণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই কবি।কবি তাঁর বহুমাত্রিক কবিতার তুলির আছড়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথাও সাজিয়ে ধরছেন অপরুপ বর্ণনা ভঙ্গিতে। তাঁর কবিতা হৃদয় জাগাবে,জয় করবে মন।শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিতে চান তার কবিতার মাধ্যমে, তিনি চমৎকার লিখেছেন এইটুকু কবিত্ব জীবনে। কালের পরিক্রমায় এই কবি যদি সুদীর্ঘকাল কবিতা লিখতে পারেন তাহলে তার কবিতার সুন্দরের ধ্বনি, কবিতার মাধ্যমে বলা মানবতার জয়গানের ধ্বনি পৌঁছে যাবে গোটা দুনিয়া জুড়ে।শেষ করছি কবির” পৃথিবীটা সেদিন মানুষের হতো একটি কবিতার পংক্তি দিয়ে তিনি লিখেছেন—”পৃথিবীটা সেদিন মানুষের হতো যদি প্রতিটা মানুষ মানুষ হতো/ পৃথিবীটা সেদিন মানুষের হতো যদি পৃথিবীতে কোনো সংঘাত না হতো।”তিনি তার সর্বশেষ কবিতার বইয়ে ব্যতিক্রমধর্মী ভাবনায় কিছু কবিতা লিখেছেন যা পাঠকের কাছে খুব হৃদয়স্পর্শী মনে হবে। তিনি আমার এখন খুব ভয় করে কবিতায় লিখেছেন,”এখন আমার পোশাকধারী দেখলেই ভয় করে/সাদা পোশাকধারী দেখলেও ভয় করে/সামরিকবাহিনীকে দেখলে তো ভয়ে তটস্থ থাকি/ এখন ভয় করে আমার প্রাক্তন প্রেমিকাকে দেখলেও।”মূলত তিনি ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের করুণ আর্তনাদ, অগণিত তরুণ যুবার আত্মাহুতির কথা সুকৌশলে তুলে ধরেছেন। এই সুগভীর চিন্তা ও দর্শন যে কাউকে মর্মাঘাত করার পাশাপাশি ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করবে।এই গ্রন্থের, আমাকে পড়তে চাইলে,অনুকাব্যে তিনি লিখেছেন, ” দূর থেকেও পড়তে চাইলে পড়তে পারো আমায়/ চোখের তারা বলে দিবে কতটুকু ভালোবাসি তোমায়।”তিনি হয়তো তার সমগ্র দেহের আয়না হিসেবে চোখের তারাকে বুজিয়েছেন। হয়তো তার চোখের চাহনিযুক্ত তারা অনায়াসে বলে দিতে সক্ষম কবির ভালোবাসা কেমন সুগভীর। কবিকে দেখতে চাইলে হয়তো তার চোখের তারায় তাকিয়ে বলতে পারব।কতটুকু ভালোবাসেন তিনি মানুষ ও জগত।পৃথিবীর মানুষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে মানুষকে সংশোধিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কবি। যদি মানুষের পৃথিবী হয় তাহলে এত হানাহানি সংঘাত খুনখারাবি কেনো? পৃথিবীর আর সৃষ্টিরাজি তো মানুষের মতো এত হানাহানি করে না, মানুষ কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে এত রাহাজানি করছে। তাহলে আর শ্রেষ্ঠত্বর মূল্য কী? কবি চান মানুষের হৃদয় জাগুক। মানবতার সেবায় মানুষ এগিয়ে আসুক।তবেই পৃথিবীটা শান্তির হবে। পরিশেষে বলা যায়, কবি হোসাইন মোহাম্মদ দিদার একজন খ্যাতিমান কবি হিসেবে সমাদৃত হবেন। তার কবিতা ফুলের ঘ্রাণের মতো চৌদিকে ম ম করে সুগন্ধি ছড়িয়ে দিবে গোটা দুনিয়া জুড়ে।

দেবিদ্বারে ভুয়া সাংবাদিকের অপপ্রচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
দেবিদ্বারে ভুয়া সাংবাদিকের অপপ্রচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ

 

 

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গৌরসার গ্রামে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার ও প্রতারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই ভাই, আহমেদ শরিফ (৪৫) ও খালেদ আহমেদ-এর বিরুদ্ধে। তারা মৃত খালেক মিয়ার কন্যা রাহেলা বেগমের দুই ছেলে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দুই ভাই নিজেদের “সাংবাদিক” পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও মানহানিকর তথ্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তারা দাবি করে আসছে যে তাদের “দেশ বিদেশের সংবাদ” নামে একটি সরকারি নিবন্ধিত পত্রিকা আছে, কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ পত্রিকার কোনো সরকারি নিবন্ধন নেই।

দুই ভাই ফেসবুকে ভুয়া আইডি ও পেজ ব্যবহার করে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রচার করছে, যা এলাকায় সামাজিক অস্থিরতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সচেতন মহল জানায়, এই কর্মকাণ্ডে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এবং তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আইনগত ব্যবস্থা দাবি করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের মা রাহেলা বেগম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করে পরিবারের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা করেছেন, যা অধিকাংশই পরে সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া, দুই ভাই নানার সম্পত্তি দখল ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য নিজেদের “পাগল” পরিচয় ব্যবহার করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যদি তারা সত্যিই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হন, তাহলে কীভাবে নিয়মিত ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো ও ভিডিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে।

কয়েক মাস আগে আহমেদ শরিফ ও খালেদ আহমেদ বিএনপির পোস্টারে নিজেদের ছবি ব্যবহার করে নিজেদের ওই দলের কর্মী হিসেবে দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা মোমেন মিয়া ও কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সির নামও ব্যবহার করেছে।

বিষয়টি নিয়ে আহমেদ শরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে—ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা ও অপপ্রচার বন্ধে দ্রুত তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে গৌরসার গ্রামে আবারও শান্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে।

দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী— আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী তোফায়েল হায়দার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী— আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী তোফায়েল হায়দার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় অন্যতম আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী তোফায়েল হায়দার এখনো ধরাঁ ছোয়ার বাইরে। গেল বছরের ৪ আগষ্ট দেবিদ্বারে রাজ্জাক রুবেল হত্যার দিন প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছে তার লোকজন নিয়ে৷

ঘটনাটি ঘটার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী তোফাজ্জল হায়দার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দি-রয়েল কলেজের শিক্ষক তোফায়েল হায়দার দীর্ঘদিন যাবত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে কুমিল্লা শহরে তার আলিশান ফ্লাটে থাকছেন৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীরা কয়েক ধাপে গ্রেফতার হলেও তোফাজ্জল হোসেন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রয়েছে।

গত ৫ তারিখের পর থেকে অভিযুক্ত তোফায়েল গা-ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করেনি।

অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যাতে শিক্ষার্থীরা যাতে অংশ গ্রহন না করে সেজন্য কলেজের পেডে ঐ শিক্ষক

জরুরী নোটিশ দিয়েছিল।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে, আমরা কাউকে ছাড় দেব না।” তবে এখনো কোনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, নইলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোফায়েল হায়দারের ব্যবহৃদ মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা অপরাধীরা যদি আইনের আওতায় না আসে, তবে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।তাই

হামলাকারী তোফায়েল হায়দার ও তার সঙ্গীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

দেবিদ্বারে ভুয়া সাংবাদিকের অপপ্রচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী— আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী তোফায়েল হায়দার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে Md. Tofael Ahmed  তোফায়েল আহমেদ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আহাদ ভূঁইয়ার সীমাহীন লুটপাট: কমলাপুর থেকে বরগুনা- দুর্নীতির বিস্তৃত সাম্রাজ্য সদস্য প্রশাসন মোয়াজ্জেম’র বিরুদ্ধে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ১১শ কর্মকর্তাকে পোস্টিং বাণিজ্য অর্ধশত কোটি টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ রাজউক ইঞ্জিনিয়ার টিপুর ‘অঘোষিত সাম্রাজ্য’  পাখির খাদ্যের আড়ালে এলো ২৫ হাজার কেজি মাদক গৌরসারে প্রিয় শিক্ষকের বিদায়: ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় ভেসে উঠল পুরো গ্রাম সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া অস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার ১১ সুবিধা দেবিদ্বারে ব্যবসায়ীর ছেলেকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা, ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ কুমিল্লার তিতাসে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে ৪ নারীকে  তিতাসে মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার  সময় এসেছে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর’…..আপোষহীন তরুণ নেতা আল আমিন হক বাবু  তিতাসে ভূয়া দলিল সৃজন করে মনিরুজ্জামান লিটনের কবরস্থান দখলের পায়তারা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী তামজীদ হোসেন এর সেন্ডিকেটের ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি হোমনায় নিহত জবি’র ছাত্রদল নেতা জুবায়েদের বাড়িতে শোকের মাতম: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ  কুমিল্লার দেবিদ্বারে ছোট বোনকে জিন ছাড়াতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার বড়বোন, অতপর ব্লাক মেইল ও অর্থ আত্নসাৎ  দেবিদ্বার ভানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জালালের অপসারণ ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ধানের জমিতে কারেন্ট পোকা দমনের উপায় গণপূর্ত প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭৮ লাখ টাকার বিল জালিয়াতির অভিযোগ গণপূর্ত প্রকৌশলী লতিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির পাহাড়, একাধিক মামলার আসামি হয়েও বহাল তবিয়তে দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ,তদন্ত কমিটি গঠন  রাজস্ব কর্মকর্তা দর্জি রুবেলের অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য : প্রভাব, দুর্নীতি আর দায়মুক্তির গল্প কর পরিদর্শক রুবেল দর্জির নামে-বেনামে কোটি টাকার সম্পদ উন্মোচন এতিম মেয়ের বিবাহ উপলক্ষে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলো দাদিয়াপাড়া মানব কল্যাণ সংস্থা তিতাসে তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেন আক্তারুজ্জামান সরকার