রাজউকের ‘ছদ্মবেশী দস্যু’: জোন-৪/২–এর ইমারত পরিদর্শক সোহাগ মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ইমারত পরিদর্শক পদে আসীন মোঃ সোহাগ মিয়া এখন আর শুধুই একজন কর্মকর্তা নন- তিনি হয়ে উঠেছেন স্বৈরাচারী শাসনের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা এক দুর্নীতিবাজ ‘গডফাদার’, যিনি ছাত্রলীগের সাবেক পরিচয় দিতেন। আট এখন উপদেষ্টাদের আত্মীয় পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন এক ভয়াবহ দালালি সাম্রাজ্য।
রাজউক জোন-৪/২, মহাখালীর দায়িত্বে থাকা এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রভাবশালী ঠিকাদার, অবৈধ স্থাপনা মালিক ও দালালদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারের নীতিমালা, নগর পরিকল্পনা ও ভবন নির্মাণ বিধিমালা ছিঁড়ে কচুকাটা করছেন। সোহাগ মিয়ার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে একের পর এক নকশাবহির্ভূত ভবন, যেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে নোটিশ পাঠালেও, বাস্তবে তা মুচলেকা ও মোটা অঙ্কের উৎকোচেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ঠিকাদারদের কাছ থেকে ‘পার্সেন্টেজ’ ছাড়া কোনো কাজ অনুমোদন হয় না তার জোনে। এমনকি অনুরোধ করে আসা সাধারণ মানুষকেও সাফ জানিয়ে দেন “উপরে পাঠাতে হয়”, আর সে ‘উপর’ যে কতটা নিচে নেমে গেছে, তা বুঝতে সময় লাগে না।
মাঠপর্যায়ের চেকিং থেকে শুরু করে নির্মাণাধীন ভবনে অনুমোদনের নামে হয়রানি, নোটিশ দিয়ে চাঁদাবাজি এবং অবৈধ স্থাপনায় চোখ বন্ধ রাখা-সবই এখন এই এক ব্যক্তির পেশাগত ‘নিয়ম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজউকের অভ্যন্তরেই অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মুখে কিছু না বললেও, ভেতরে তারা ক্ষোভে ফুঁসছেন-কিন্তু কথা বললেই বদলি, বঞ্চনা কিংবা হুমকি অবধারিত।
বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায়…