নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশারের হাতে জিম্মি ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ | পর্ব-০১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনসেবার নামে দুর্নীতির উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ। আর এই অধঃপতনের হাল ধরেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নয়, বরং ক্ষমতালোভী কমিশন ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। অভিযোগ রয়েছে—তিনি ঘুষ, লিয়াজু, দলীয় প্রভাব এবং নির্লজ্জ দুর্নীতিকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা’তে পরিণত করে ফেলেছেন।
নামমাত্র টেন্ডার প্রক্রিয়া আর লোক দেখানো দরপত্র বিশ্লেষণের আড়ালে চলছে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের সাথে ‘সমন্বয় বাণিজ্য’। দলের নাম ব্যবহার করে কিছু সুবিধাভোগী ঠিকাদারকে ঘুষের বিনিময়ে একচেটিয়া কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার। অন্যদিকে যোগ্য অথচ নিরপেক্ষ ঠিকাদাররা পড়ে থাকেন বঞ্চনার খাতায়। সরকারি টাকায় উন্নয়ন নয়, বরং দলীয় ব্যবসায়ী চক্রের পকেট ভারী করাই যেন তার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষ করে সওজের বিভিন্ন প্রকল্পে তার বিরুদ্ধে প্রকল্প অনুমোদনের আগেই অগ্রিম ঘুষ গ্রহণ, কাজের মান যাচাই না করেই বিল অনুমোদন এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপেশাদার ঠিকাদারদের মাঠে নামিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিস্তর। অর্থাৎ, দপ্তরটি এখন খায়রুল বাশারের একক নিয়ন্ত্রণাধীন কমিশন হাটে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রকৌশল নয়, চলে সিএসসি—“কমিশন সাইনিং কনসেপ্ট”।
সূত্র বলছে, কিছু মিডিয়াকর্মী ও স্থানীয় রাজনৈতিক দালালের সঙ্গে সমন্বয় করে গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, যারা বিভিন্ন ঠিকাদারকে ভয়ভীতি, ব্ল্যাকমেইল আর পক্ষপাতমূলক সুবিধার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রকল্প বণ্টনে চলছে প্রতিহিংসা ও পক্ষপাতিত্ব, ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জনগণের অর্থে নির্মিত সড়ক-মহাসড়ক এক বছরের মধ্যেই ধসে পড়ছে, অথচ বিল পরিশোধে নেই কোনো ঘাটতি।
চলবে….