গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুরের হরিলুট | পর্ব-০১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপূর্ত অধিদপ্তরে নিয়োজিত ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর বর্তমান কর্মস্থলে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার নতুন অধ্যায় রচনা শুরু করেছেন। ‘উন্নয়ন’ নামের প্রতারণার ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ঠিকাদার-প্রকৌশলী দালালি চক্রের নতুন কুশীলব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয়, বরং কমিশন বাণিজ্যের মূল দালাল হয়ে উঠেছেন মুস্তাফিজ।
সূত্র জানায়, তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট, যার মূল কাজই হচ্ছে সরকারি নির্মাণকাজ, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা। অযোগ্য অথচ ‘বিশ্বস্ত’ ঠিকাদারদের কাছে কাজ বিক্রির বিনিময়ে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ এখন নিয়মিত ঘটনা। নির্ধারিত টেন্ডার প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে, এস্টিমেট ভেজাল ও বিল অনুমোদনে আর্থিক লেনদেনকে রীতিমতো নীতি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।
বিশেষ করে বিল দাখিলের আগে কাজের মান যাচাই তো দূরের কথা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাঠ পর্যায়ের প্রকল্পগুলো কাগজে-কলমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিল ছাড়, ফাইনাল পেমেন্ট এবং কাজের সার্টিফিকেট নিয়ে অফিস কক্ষজুড়ে চলে চরম ঘুষবাণিজ্য। এমনকি, প্রকল্প অনুমোদনের আগেই ঠিকাদারদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগি নিশ্চিত করার অভিযোগও উঠেছে মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গণপূর্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে এমন দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর উপস্থিতি কেবল আর্থিক ক্ষতিই নয়, বরং পুরো বিভাগের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তরুণ কর্মকর্তা পরিচয়ের আড়ালে ক্ষমতাকেন্দ্রিক দালালচক্রের অনুগত হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ আজ ঠিকাদার সিন্ডিকেটের পুতুল মাত্র।
সরকারি বরাদ্দ, পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তর যখন কমিশন নির্ভর হয়ে পড়ে, তখন জনগণের করের টাকায় পরিচালিত উন্নয়নই হয়ে ওঠে ধ্বংসের হাতিয়ার। মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গণপূর্ত বিভাগ আজ সেই দুঃস্বপ্নের পথে হাঁটছে।
চলবে…..