খুঁজুন
বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২

রাজউকে আওয়ামী দোসর সোহাগ মিয়ার হরিলুট : ০২ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
রাজউকে আওয়ামী দোসর সোহাগ মিয়ার হরিলুট : ০২ 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

রাজউকের দুর্নীতির সাম্রাজ্যে ‘ছদ্মবেশী দস্যু’ নামে পরিচিত মোঃ সোহাগ মিয়া যেন এক ভয়ঙ্কর ছায়া, যিনি শুধু একজন ইমারত পরিদর্শক নন—একটি সংঘবদ্ধ দালালচক্রের নিরবচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রক। প্রথম পর্ব প্রকাশের পরও রাজউকের কোনো কর্মকর্তা এখনো প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, এই ব্যক্তি ইতিমধ্যে রাজউকে ‘অনিয়মের দুর্গ’ বানিয়ে তুলেছেন।

 

ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে নকশা অনুমোদন, নির্মাণাধীন ভবনে পরিদর্শন, কিংবা বিদ্যমান ভবনের নামে হয়রানি—সব ক্ষেত্রেই সোহাগ মিয়া ও তার সিন্ডিকেট নির্লজ্জভাবে ভাগ বাটোয়ারার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, সরকারি নিয়ম-কানুন, রাজউকের নিজস্ব আইন কিংবা সরকারের নির্দেশনা—এসব কিছুই তার কাছে মূল্যহীন। কারণ তিনি নিজেকে উপস্থাপন করেন ‘উপরে যোগাযোগ আছে’—এই মিথ্যা অথচ ভয়ংকর বর্মে।

 

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সোহাগ মিয়া প্রতি মাসেই মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর এই অর্থের ভাগ যায় উপরে-নিচে বিস্তৃত এক প্রভাবশালী মহলের কাছে। সোহাগ মিয়ার সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা রয়েছে কিছু অবৈধ স্থাপনা মালিক, দালাল ও কথিত ঠিকাদারদের। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা জোন-৪/২ এলাকায় হুট করেই রাতারাতি নকশা বহির্ভূত ভবন গজিয়ে ওঠে, আর তা বন্ধ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজউক কর্মকর্তারা পড়েন চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে।

 

সূত্র আরও জানায়, এই চক্রের সঙ্গে সোহাগ মিয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের পলাতক ও বিতর্কিত কিছু সাবেক নেতাদের সাথেও। বহুদিন ধরে এদেরকে গোপনে নানা সুবিধা দিয়ে আসছেন তিনি। কখনো ভবনের অনুমোদন, কখনো নকশা ছাড়াই ফ্ল্যাট বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রেই তিনি সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। আর এসবের পেছনে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ইঙ্গিত রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

রাজউকের অনেক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন—অভিযোগ করলেই বদলি, আবার কেউ সরাসরি কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ সোহাগ মিয়া নিজেকে প্রশাসন, মন্ত্রী, এমপি পর্যন্ত ‘ম্যানেজে’ রাখার ভয় দেখিয়ে থাকে।

 

একজন কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের হাতে নীতিমালা আছে, কিন্তু এখানে নীতির কোনো দাম নেই। দাম আছে শুধু কার কাঁধে কার হাত, কে কার সঙ্গে খায়। সোহাগ মিয়া এটাই প্রমাণ করে দিয়েছে।”

 

বর্তমানে এই ‘দস্যু’ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও, রাজউকের ভেতরে-বাইরে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না। কারণ, এতবছর ধরে সে একইভাবে বহাল তবিয়তে থেকে দুর্নীতির সাম্রাজ্য চালিয়ে আসছে।

 

চলবে…

 

পরবর্তী পর্বে: কীভাবে ‘ছাত্রলীগ’ পরিচয় দিয়ে শুরু, এখন কোটি টাকার সিন্ডিকেটের হোতা?

আওয়ামী দোসর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা– পর্ব ১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
আওয়ামী দোসর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা– পর্ব ১

 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ক্ষমতার বলয়ে গজিয়ে ওঠা দুর্নীতির ক্যান্সার, নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা—নাম শুনলেই ফাইল কাঁপে, ঘুষে ভেজা চুক্তিপত্রের গন্ধ ছড়ায়। সরকারি চাকুরির চাদরে মুড়ে নিজেকে তিনি বানিয়েছেন ‘মিস্টার ১৫%’, ঠিকাদারদের কাঁধে চেপে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সাম্রাজ্য দাঁড় করিয়েছেন।

 

ফাইভ স্টার হোটেলের বিলাসবহুল কক্ষে রঙিন সন্ধ্যা, মদের গ্লাসে ঠোকাঠুকি আর দেহ ব্যবসার আখড়া—সবই মাসুদ রানার কর্মকাণ্ডের নিয়মিত অংশ। অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে বহুজনের কাছে এ এক ‘ওপেন সিক্রেট’।

 

ঢাকার শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩-এ কর্মরত থাকাকালে তিনি অসংখ্য প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে, দরপত্রের গোপন তথ্য পাচার করে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেমেছেন ডাকাতির মহোৎসব। টেবিলের নিচ দিয়ে হাত চালিয়ে তিনি গিলে ফেলেছেন হাজার কোটি টাকার বাজেট।

 

অতঃপর নিজের পছন্দের বিভাগ—ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪-এ নির্বাহী প্রকৌশলীর চেয়ারে বসেই দুর্নীতিকে আরও পাকাপোক্ত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, গত জুলাই মাসে মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর পকেটে তিনি ঢেলেছেন মোটা অঙ্কের টাকা—যা আদান-প্রদান হয়েছে এমপি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের মাধ্যমেই।

 

শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শেরে বাংলা নগর থানার সামনে নেমেছিল বিক্ষোভে, দাবি তুলেছিল তার অপসারণের। কিন্তু সবই যেন গা বাঁচানোর সাজানো নাটক—কারণ মাসুদ রানার পেছনে নাকি রয়েছে শক্তিশালী রাজনৈতিক অভিভাবক।

 

পরবর্তী পর্বে প্রকাশিত হবে—মাসুদ রানার রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোতে রাতভর রঙ্গলীলা, নারী সঙ্গ, অবৈধ সম্পদের উৎস ও তার দুর্নীতির দলিলভিত্তিক চিত্রপট।

 

চলবে…..

উপদেষ্টা মাহফুজের সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন সিডনিতে, ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন সিডনিতে, ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ!

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

ঢাকা, বাংলাদেশের অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত তার আপন বড় ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টে সম্প্রতি সাড়ে ছয় কোটি টাকার একটি সন্দেহজনক লেনদেন দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অস্বাভাবিক এই আর্থিক কার্যকলাপের দায়ে তার ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টটি ইতিমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।

 

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজের বড় ভাই উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে পার্টটাইম ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার নামে থাকা কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়া-র একাউন্টে গত নয় মাস ধরেই বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের অর্থ জমা হচ্ছিল।

 

মূল ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত ২৪শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে। এদিন মধ্যপ্রাচ্যের একটি উৎস থেকে তার একাউন্টে একবারে সাড়ে ছয় কোটি টাকা জমা হয়। এই বিপুল পরিমাণ লেনদেনটি অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা AUSTRAC (Australian Transaction Reports and Analysis Centre)-এর রাডারে ধরা পড়ে। একজন সাধারণ ছাত্র এবং পার্টটাইম ট্যাক্সিচালকের একাউন্টে এত বড় লেনদেন তাদের কাছে অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে হয়।

 

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ উঠেছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মূলত জন্মভূমির একটি প্রভাবশালী বেনিয়া গোষ্ঠীর একটি বড় প্রকল্পের “কমিশনভিত্তিক হিস্যা”। অভিযোগ রয়েছে, মাহফুজ দেশে বিভিন্ন ফাইলের তদবির ও লবিংয়ের কাজ করেন এবং সেই কাজের পারিশ্রমিক বা কমিশন হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ অস্ট্রেলিয়া বাড়িতে তার ছাত্র ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক নজরদারি এড়াতে এবং অর্থের উৎস গোপন রাখতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

AUSTRAC এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী, আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এ ধরনের বড় লেনদেন অর্থ পাচার (Money Laundering) বা সন্ত্রাসী অর্থায়নের সন্দেহের তালিকায় পড়ে। সংস্থাটি মাহফুজের ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টটি জব্দ করার পাশাপাশি এই অর্থের মূল উৎস, প্রেরক এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে গভীর অনুসন্ধান শুরু করেছে।

 

এই ঘটনা প্রকাশের পর দেশে এবং বিদেশে মাহফুজের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে এই অর্থের মূল উৎস এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী গোষ্ঠীর পরিচয় বেরিয়ে এলে বিষয়টি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

তৌফিক রুবেল : 

বুক পকেট মৃত্যু নিয়ে এই জনপদের এক কবি ঘুরছেন রাতবিরেত। বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে কী শুধু কবিই ঘুরে! কে মৃত্যু বুকে না নিয়ে ঘুরে? মৃত্যু বুকে নিয়ে ঘুরে রাজা থেকে প্রজা, ফেরিঅলা, ফুল ও ফল বিক্রেতা। মূলত সৃষ্টি মানেই লয়। আমরা প্রকৃতার্থে বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ঘুরছি।

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে নীরবে কবিতার আলোয়ে ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করে তুলছেন এই সমাজের এক তরুণ তুর্কী হোসাইন মোহাম্মদ দিদার। তিনি কবিতা লিখে চলছেন প্রায় দুই যুগের অধিক সময় ধরে। তার কবিতায় সুফিবাদের তীব্র দর্শন পরিলক্ষিত। যে একবার তার এই সুফিবাদে অবগাহন করেছে; সে জানে খোদ তার কবিতা মুধুময় অমিয় স্বাদে ভরপুর। তার হাতের লেখায় ইসলামি দর্শন যেন কমন। তিনি তার দর্শনে রাষ্ট্র, সমাজ সংক্রমণের কথা বলার পাশাপাশি, তা থেকে পরিত্রাণের কথাও চমৎকারভাবে বন্দনা করেছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ এ পর্যন্ত ৭ টি। এরমধ্যে থেকে সবকটি কবিতার বইয়ে খোদাপ্রেম, খোদা ভীতি, নবী প্রেম দেখতে পাই। সর্বশেষ প্রকাশিত কবির তিনটি কবিতার বই— অন্যরকম মেঘ, সে ফিরবে না আর ও বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ঘুরি। 

এই তিনটি গ্রন্থের ভিতরে যাপিত জীবনের সকল ক্ষত আরগ্য হওয়ার মত নির্যাস রয়েছে। 

 

তিনি তার সর্বশেষ প্রকাশিত” বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ঘুরি ” কাব্যগ্রন্থে একটি কবিতায় লিখেছেন, ‘আমি তো চেয়েই এনেছি তোমার থেকে দুঃখ/ সইতে যেন পারি প্রস্তুত করো আমার বক্ষ। মানুষ যখন দুঃখে থাকে তখন সেটা রবের পক্ষ থেকেই উপহার হিসেবে আসে, একথাই কবি তার লিখিত কাপলেটে বুঝাতে চেয়েছেন। এবং সেই দুঃখ যদি পাহাড়সমও হয় তা যেন সহ্য করতে পারেন সেজন্য রবের প্রতি প্রার্থনাও জানিয়েছেন। 

দোযখ নামে আরেকটি কাপলেটে কবি লিখেছেন, ‘নাচে চোখের সামনে দোজখ / অথচ বেহেশত যাওয়ার শখ’।আসলে আমাদের পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে যেন ঘর থেকে বের হলেই বেলেল্লাপনা চোখের সামনে এসে উপস্থিত হয়। এই অবস্থায় মানুষের ঈমান ধরে রাখা কতোটা কঠিন সেই কথাটিই কবি তার কাব্যিক ভাষায় বলেছেন। এভাবেই নানান উপমা আর ছন্দেবন্দে কালের কথা বলেছেন। স্রস্টার অস্তিত্বের জানান দিতে গিয়ে কবি তার সৃষ্টি ‘মিরাকল’ নামক কবিতায় লিখেছেন পৃথিবীর মিরাকল বলতে যদি কিছু থাকে সেটা তো— ‘তুমিই’। আসলেই তো দুনিয়ায় সবচেয়ে রহস্যময় ও আশ্চর্যের বিষয়তো স্রস্টাই। নবির প্রেমের জানান দিতে ‘আমিনা মায়ের কোলে’ নামক কবিতায় তিনি লিখেছেন—”সেই ফুলের খুশবু মেখে/ পথ চলিব হেসেহেসে; সেই ফুলেতে প্রাণ সপেছি/ সকল কিছু ভুলে।”

 

নবি প্রেম একটা নিঃস্ব মানুষকে আশা জাগায়, আলোকিত জীবন উপহার দেয়। তার লেখায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নবি প্রেমে নিজেকে সপে দিতে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করবে।

 

 

 

 

বলাবাহুল্য জীবন যার কবিতা সঙ্গী। যার কবিতা দুঃসময়ে হয়ে ওঠে হাতিয়ার। পথ দেখায় আলোর। ভাঙা হৃদয় করে একত্রীকরণ। অবচেতন বিবেকে করে তুলে জাগ্রত। তরুণ এই তুর্কীর হাতে কবিতার মশাল।বিশেষ করে গেল বছর-২৪ গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমির বিষয়টিকে কবি এভাবে বলেছেন বিপ্লবীদের যখন মৃত্যু বুক পকেটে থাকে। দেখা গেছে ঐ সময়টা একটা অনিশ্চিত সময়। মানুষ জীবন নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হতো। কুরআন-হাদীসে মৃত্যুর কথা বারবার স্মরণ করার তাগিদ দিয়েছেন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল(সা.)। তবে কবিতার মাধ্যমে মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে দিয়েছেন এ কবি বারংবার । তার ‘বুক পকেটে মৃত্যু নিয়ে ‘ কাব্যগ্রন্থটি যে একবার পড়বে সে আর স্থির থাকতে পারবে না। বারবার নিজেকে হারাবে মৃত্যুর গহ্বরে।

 

ঐসব সমসাময়িক নানান বিষয়ে মহুয়া কবিতার শব্দে বন্দে ছন্দে স্রস্টা, নবি প্রেম, মানবিক প্রেম,সুফিজম, মাটি ও মানুষকে হৃদয়ে ধারণ করে লেখা তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো একদিন মানুষের হৃদয় জয় করবে এমনটাই ধারণা করা যায়। 

 

ইসলামি রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ, আল-মাহমুদ কিংবা মতিউর রহমান মল্লিক যে পথে হেঁটেছেন। বলা যায়, তরুণ কবি হোসাইন মোহাম্মদ দিদার অনেকটাই সেই পথ ধরেই হাঁটছেন। ক্লান্তিহীন এই পথচলা কবিকে একদিন হয়তো অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কবি চান কবিতার মাধ্যমে একটি মানবিক পৃথিবীর কথা বলতে,বারবার নবি প্রেম ও খোদা প্রেম কিংবা দেশ প্রেমের বিশদ বর্ণনা ফুটে ওঠেছে তার সব কবিতায় ও প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থে।

মানুষের ভাষা বুঝে, দাবি বুঝে লেখার সক্ষম কবি হিসেবে ইতিমধ্যে পাঠকের মনমণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই কবি।

কবি তাঁর বহুমাত্রিক কবিতার তুলির আছড়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথাও সাজিয়ে ধরছেন অপরুপ বর্ণনা ভঙ্গিতে। তাঁর কবিতা হৃদয় জাগাবে,জয় করবে মন।

 

 

 

 

শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিতে চান তার কবিতার মাধ্যমে, তিনি চমৎকার লিখেছেন এইটুকু কবিত্ব জীবনে। কালের পরিক্রমায় এই কবি যদি সুদীর্ঘকাল কবিতা লিখতে পারেন তাহলে তার কবিতার সুন্দরের ধ্বনি, কবিতার মাধ্যমে বলা মানবতার জয়গানের ধ্বনি পৌঁছে যাবে গোটা দুনিয়া জুড়ে।

 

শেষ করছি কবির” পৃথিবীটা সেদিন মানুষের হতো একটি কবিতার পংক্তি দিয়ে তিনি লিখেছেন—

“পৃথিবীটা সেদিন মানুষের হতো যদি প্রতিটা মানুষ মানুষ হতো/ পৃথিবীটা সেদিন মানুষের হতো যদি পৃথিবীতে কোনো সংঘাত না হতো।”

 

তিনি তার সর্বশেষ কবিতার বইয়ে ব্যতিক্রমধর্মী ভাবনায় কিছু কবিতা লিখেছেন যা পাঠকের কাছে খুব হৃদয়স্পর্শী মনে হবে। তিনি আমার এখন খুব ভয় করে কবিতায় লিখেছেন,”এখন আমার পোশাকধারী দেখলেই ভয় করে/সাদা পোশাকধারী দেখলেও ভয় করে/সামরিকবাহিনীকে দেখলে তো ভয়ে তটস্থ থাকি/ এখন ভয় করে আমার প্রাক্তন প্রেমিকাকে দেখলেও।”

 

মূলত তিনি ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের করুণ আর্তনাদ, অগণিত তরুণ যুবার আত্মাহুতির কথা সুকৌশলে তুলে ধরেছেন। এই সুগভীর চিন্তা ও দর্শন যে কাউকে মর্মাঘাত করার পাশাপাশি ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করবে।

 

এই গ্রন্থের, আমাকে পড়তে চাইলে,অনুকাব্যে তিনি লিখেছেন, ” দূর থেকেও পড়তে চাইলে পড়তে পারো আমায়/ চোখের তারা বলে দিবে কতটুকু ভালোবাসি তোমায়।”

 

তিনি হয়তো তার সমগ্র দেহের আয়না হিসেবে চোখের তারাকে বুজিয়েছেন। হয়তো তার চোখের চাহনিযুক্ত তারা অনায়াসে বলে দিতে সক্ষম কবির ভালোবাসা কেমন সুগভীর। কবিকে দেখতে চাইলে হয়তো তার চোখের তারায় তাকিয়ে বলতে পারব।কতটুকু ভালোবাসেন তিনি মানুষ ও জগত।

 

 

পৃথিবীর মানুষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে মানুষকে সংশোধিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কবি। যদি মানুষের পৃথিবী হয় তাহলে এত হানাহানি সংঘাত খুনখারাবি কেনো? পৃথিবীর আর সৃষ্টিরাজি তো মানুষের মতো এত হানাহানি করে না, মানুষ কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে এত রাহাজানি করছে। তাহলে আর শ্রেষ্ঠত্বর মূল্য কী? কবি চান মানুষের হৃদয় জাগুক। মানবতার সেবায় মানুষ এগিয়ে আসুক।তবেই পৃথিবীটা শান্তির হবে। পরিশেষে বলা যায়, কবি হোসাইন মোহাম্মদ দিদার একজন খ্যাতিমান কবি হিসেবে সমাদৃত হবেন। তার কবিতা ফুলের ঘ্রাণের মতো চৌদিকে ম ম করে সুগন্ধি ছড়িয়ে দিবে গোটা দুনিয়া জুড়ে।

আওয়ামী দোসর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা– পর্ব ১ উপদেষ্টা মাহফুজের সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন সিডনিতে, ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ! হোসাইন মোহাম্মদ দিদার কবিতার ভুবনে এক যাদুকরী নাম ডিপিডিসিতে আওয়ামী দোসর প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক | পর্ব -০১  রাজউকে আওয়ামী দোসর সোহাগ মিয়ার হরিলুট : ০২  রাজউকের ‘ছদ্মবেশী দস্যু’: জোন-৪/২–এর ইমারত পরিদর্শক সোহাগ মিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা ডাবল বিল থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত: নির্বাহী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ | পর্ব-০১ রাজউকে লিটন সরকারের স্বৈরাচারী আধিপত্যে বিপন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা | পর্ব-০১  গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুরের হরিলুট | পর্ব-০১ নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশারের হাতে জিম্মি ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ | পর্ব-০১ বগুড়া সওজে অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক আবুল মনসুর আহমেদ | ৩য় পর্ব মানিকগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলমের হরিলুট | পর্ব-০১ রাজউকের মাহবুবার রহমানের দুঃসাহসিক দুর্নীতির সাম্রাজ্য | পর্ব-০১ বগুড়া সওজে অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক আবুল মনসুর আহমেদ | ২য় পর্ব  সাবেক এমপি সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন ও পৌর মেয়র নাঈম ইউসুফ সেইনের নামে হত্যা মামলা হালিশহরের ‘ইয়াবা সম্রাট’ নিরব হোসেন | পর্ব-০১ কুমিল্লায় বিদোশ পিস্তলসহ বিএনপির নেতা গ্রেফতার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা বগুড়া সওজে অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক আবুল মনসুর আহমেদ অস্ত্র কেনার টাকা কোথায় পেলেন আসিফ—প্রশ্ন জুলকারনাইন সায়েরের কুমিল্লায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হিন্দু তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ বিএনপি নেতা ফজর আলীর বিরুদ্ধে।  বোদা ইউএনও নিজেই ঠিকাদার—‘ম্যানেজার’ বিপুল মোফাজ্জলের ছত্রছায়ায় দুর্নীতির সাম্রাজ্য! গণপূর্তের প্রকৌশলী উজির আলী ঢাকায় গড়েছেন সম্পদের পাহাড়! জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হলেন দাউদকান্দি মডেল থানা জুনায়েত চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর যে বার্তা দিলেন খামেনেয়ি। উন্নয়ন থামাতে নয়, প্রশাসনকে কালিমালিপ্ত করতেই এই তৎপরতা