মোঃ আবদুল হালিম
মোঃ আবদুল হালিম
স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
জিমেইল:saikot86@gmail.com
মোবাইল:
01920126128
01613124588
ব্লাড গ্রুপ A+
মোঃ আবদুল হালিম
স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
জিমেইল:saikot86@gmail.com
মোবাইল:
01920126128
01613124588
ব্লাড গ্রুপ A+
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গৌরসার গ্রামে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার ও প্রতারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই ভাই, আহমেদ শরিফ (৪৫) ও খালেদ আহমেদ-এর বিরুদ্ধে। তারা মৃত খালেক মিয়ার কন্যা রাহেলা বেগমের দুই ছেলে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দুই ভাই নিজেদের “সাংবাদিক” পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও মানহানিকর তথ্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তারা দাবি করে আসছে যে তাদের “দেশ বিদেশের সংবাদ” নামে একটি সরকারি নিবন্ধিত পত্রিকা আছে, কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ পত্রিকার কোনো সরকারি নিবন্ধন নেই।
দুই ভাই ফেসবুকে ভুয়া আইডি ও পেজ ব্যবহার করে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রচার করছে, যা এলাকায় সামাজিক অস্থিরতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সচেতন মহল জানায়, এই কর্মকাণ্ডে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এবং তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আইনগত ব্যবস্থা দাবি করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের মা রাহেলা বেগম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করে পরিবারের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা করেছেন, যা অধিকাংশই পরে সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া, দুই ভাই নানার সম্পত্তি দখল ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য নিজেদের “পাগল” পরিচয় ব্যবহার করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যদি তারা সত্যিই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হন, তাহলে কীভাবে নিয়মিত ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো ও ভিডিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে।
কয়েক মাস আগে আহমেদ শরিফ ও খালেদ আহমেদ বিএনপির পোস্টারে নিজেদের ছবি ব্যবহার করে নিজেদের ওই দলের কর্মী হিসেবে দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা মোমেন মিয়া ও কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সির নামও ব্যবহার করেছে।
বিষয়টি নিয়ে আহমেদ শরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে—ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা ও অপপ্রচার বন্ধে দ্রুত তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে গৌরসার গ্রামে আবারও শান্তি ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় অন্যতম আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী তোফায়েল হায়দার এখনো ধরাঁ ছোয়ার বাইরে। গেল বছরের ৪ আগষ্ট দেবিদ্বারে রাজ্জাক রুবেল হত্যার দিন প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছে তার লোকজন নিয়ে৷
ঘটনাটি ঘটার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী তোফাজ্জল হায়দার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দি-রয়েল কলেজের শিক্ষক তোফায়েল হায়দার দীর্ঘদিন যাবত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে কুমিল্লা শহরে তার আলিশান ফ্লাটে থাকছেন৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীরা কয়েক ধাপে গ্রেফতার হলেও তোফাজ্জল হোসেন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রয়েছে।
গত ৫ তারিখের পর থেকে অভিযুক্ত তোফায়েল গা-ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করেনি।
অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যাতে শিক্ষার্থীরা যাতে অংশ গ্রহন না করে সেজন্য কলেজের পেডে ঐ শিক্ষক
জরুরী নোটিশ দিয়েছিল।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে, আমরা কাউকে ছাড় দেব না।” তবে এখনো কোনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, নইলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোফায়েল হায়দারের ব্যবহৃদ মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা অপরাধীরা যদি আইনের আওতায় না আসে, তবে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।তাই
হামলাকারী তোফায়েল হায়দার ও তার সঙ্গীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
