ডলারের বাড়তি দাম ও শুল্ক বাড়ায় আমদানি কমার কারণে বাজারে ফলের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে
ফলের দাম ২০২৪-দেশি ও বিদেশি সব ফলের দাম কত
আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা ২০২৪ সালের নতুন অবস্থায় সকল ফলের দাম প্রকাশ করছে। নতুন ফলের সংগ্রহ কতটুকু কোন মাসে সেটাও আমরা জানিয়ে দিবো। ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে ফলের দাম একটু কম থাকায় ক্রেতারা মোটামুটি কিনে নিয়েছে। যদিও ফল বেশিদিন ধরে রাখা যায়না, তবুও সপ্তাহ খানেক এর জন্য ফল ফ্রিজে রেখে দেয়। এবং প্রয়োজনের সময় মানুষ সেই ফল খায়।
ফলের দাম বাড়ানো বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে আমদানিকারকরা জানান, ডলারের বাড়তি দাম ও শুল্ক বাড়ায় আমদানি কমার কারণে বাজারে ফলের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে বর্তমানে সব ফলের শুল্ক বাড়ানো হয়নি বলেও জানান তিনি। দুই থেকে তিনটি ফলের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। গড়ে সব ফলের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ব্যবসায়ীদের ভিযোগ, বাজারে তৃতীয় পক্ষ ফলসহ অন্যান্য পণ্য মজুত করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছে ও দাম বাড়ানো হচ্ছে । তাছাড়া খুচরা বিক্রেতারা কেনা দামের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন।
ফলের দাম ২০২৪-দেশি ও বিদেশি সব ফলের দাম কত আপেল, কমলা,খেজুর, মাল্টা, আঙুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত। আমদানি ফলের মধ্যে কমলা, মাল্টা, আঙুর ও আপেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিদেশি ফলের বাজার একটু বেশি হওয়াতে সাধারণ মানুষ দেশি ফলের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। তবে আনারস, আপেল, কমলা, খেজুর, পেপে, পেয়ারা ইত্যাদির দাম কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পুর্ব থেকেই রোজায় চাহিদায় পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে খেজুরের দাম ছুটেছে হাতের ছোয়ার বাইরে। পুর্রেব সব রেকর্ড ভেঙে গত ২০ দিনের ব্যবধানে মেডজুল, জিহাদি, তিনেশিয়া, সুফ্রিসহ ছয় পদের খেজুর কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দাম বেড়েছে। বেড়েছে আপলে, কমলা, মাল্টার দাম। গত এক মাসের ব্যবধানে এসব আমদানি করা ফলের দাম কেজিতে ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া কলার হালিও ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
রমজান মাসে সরকারের সহায়তায় খেজুরসহ প্রায় ২৯ টি পণ্যের দাম কমে দিলেও বাজারে কিনতে গেলে চরা দাম নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তারা জানান মাঠ পর্যায়ে ফল খুবই কম। এর মধ্যে খেজুর ফল নিম্নমানেরটা ১৫০-১৮০ টাকা ও ভালোটা ১৮০-২৫০ টাকা পর্যন্ত করেছে।
বিশেষ করে আগে প্রতিকেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় ৬২ টাকা শুল্ক নিতো। এখন শুল্ক আদায় করছে ৮৮ টাকা। একইভাবে ৯৮ টাকার আঙুরে শুল্কহার ১১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে বিদেশি ফলের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কহার ছিল ৩ শতাংশ, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে।
ফলের দাম ২০২৪ এ আপনি পাবেন ১০ টি প্রয়োজনীয় ফলের দাম। নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
সরেজমিন রাজধানীসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাউথ আফ্রিকার গালা আপেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।
- চিনা ফুজি আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। আগে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
- মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৮০ কেজি, যা ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। বেড়েছে ১০০ টাকা।
- কমলা মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, যা ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। বেড়েছে ৫০ টাকা।
- নাশপাতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি। বেড়েছে ৪০ টাকার বেশি।
- মানভেদে সাদা আঙুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, যা ছিল ২১০-২২০ টাকার মধ্যে। বেড়েছে ৬০ টাকা।
- মানভেদে কালো আঙুরের দাম ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
- ছোট ও মাঝারি আনার কেজিতে প্রায় ৮০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।
- এছাড়া দেশি ফলের মধ্যে আনারস বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়,বর্তমানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
- বড় বেল (বেলি বেল) ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে এটির দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অন্য ধরনের বেল যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সেটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
- মাসখানেক আগের ১২০ টাকার জাম্বুরা আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
- স্ট্রবেরি দাম কম থাকলেও বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকা কেজি। আজ দাড়িয়েছে ৪০০ থেকে কেজিতে খোলা স্ট্রবেরি বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট করা স্ট্রবেরি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
- এত সপ্তাহ আগে পাকা পেঁপের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।
- পেয়ারার দাম ছিল ৫০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
- তরমুজ গত সপ্তাহে কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০ টাকা।
- এছাড়া সফেদা ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায়
- সবরি কলার ডজন ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
- এছাড়া সাগর কলা, চম্পা কলার দাম ডজনে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। দেশি কলা সপ্তাহখানেক আগেও একহালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ বা ৪০ টাকা। এখন এক হালি দেশি কলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা
আরো পড়ুন: সরকার কর্তৃক পণ্যের দাম