দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের মানুষ এখন প্রশ্নবিদ্ধ ও শঙ্কিত—এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল থাকা হাজী জালাল কি আইনের ঊর্ধ্বে?
এক সময়কার স্বৈরাচারী রাজনীতির দোসর, খুনি কালামের সহযোগী, এবং বহুল আলোচিত রাজ্জাক রুবেল হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত ১৩ নম্বর আসামি হাজী জালাল আজ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, চালাচ্ছেন জনসভা, দিচ্ছেন উন্নয়নের বুলি। অথচ—একটিবারের জন্যও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়নি। প্রশাসনের চোখ কি অন্ধ, নাকি কারো নির্দেশে চুপ?
স্থানীয় একাধিক সূত্র দৈনিক ভোরের নতুন বার্তাকে জানিয়েছে—রাজ্জাক রুবেল হত্যার পর ব্যাপক তোলপাড় হলেও অর্থ ও রাজনৈতিক দাপটে সব চুপচাপ হয়ে যায়। হাজী জালাল তখনও ছিলেন আলোচনায়, আজও আছেন—কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে।
যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ, যার নাম আছে হত্যা মামলার আসামি তালিকায়, সেই ব্যক্তি কীভাবে জনপ্রতিনিধি হয়ে দাপটের সঙ্গে এলাকায় রাজত্ব চালাচ্ছে?
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি একদিকে অতীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী শাসনের ছায়া ব্যবহার করে চলেছেন, অন্যদিকে বর্তমানে স্বার্থান্বেষী মহলের সঙ্গে আঁতাত করে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।
“হাজী জালাল একজন সুবিধাবাদী নাম্বার ওয়ান লোক,” বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় রাজনীতিক। “আগে আওয়ামী লীগ করতো, এখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে উঠাবসা করে, যাতে যেই আসুক, সে তার চেয়ারে টিকে থাকতে পারে।”
এই দ্বিচারিতা, সুবিধাবাদিতা এবং অপরাধমূলক অতীত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে—আইন কি কেবল সাধারণ মানুষের জন্য? ক্ষমতাবানদের জন্য নয়?
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত চাঁদ পুর জেলার উত্তর কচুয়া এলাকার প্রবাসীদের নিয়ে গঠিত “উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন” (UKJPKS) সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের ২০২৫ সালের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে। এই নতুন কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।
নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রবাসে অবস্থানরত উত্তর কচুয়াবাসীর মধ্যে দেশপ্রেম, ভ্রাতৃত্ব, ও পারস্পরিক সহানুভূতির ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী সংগঠন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সকল স্তরের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ ও সৎ প্রবাসীদের মনোনয়ন
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন
মহসিন বেপারী
সহকারী উপদেষ্টা,ইকবাল খাঁন
সহকারী উপদেষ্টা,মহসিন খাঁন
সহকারী উপদেষ্টা,তানজিল আহম্মেদ
সহকারী উপদেষ্টা,মাওলানা শাহীন
সহকারী উপদেষ্টা,জহিরুল ইসলাম
সহকারী উপদেষ্টা,শরিফুল ইসলাম
সহকারী উপদেষ্টা,শাহীন খন্দকার
সহকারী উপদেষ্টা,মোঃ সবুজ সিকদার
সহকারী উপদেষ্টা,আরিফ হাসান
সহকারী উপদেষ্টা,মহসিন প্রধান
সহকারী উপদেষ্টা, আক্তার হোসেন মজুমদার,
প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকায় জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত।
নতুন কমিটির মূল নেতৃত্ব
সংগঠনের নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রেজাউল করিম রাজিব।
যিনি প্রবাসী সমাজে একজন জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য মুখ। সি, সহ সভাপতি, হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।মো দিদার হোসেন।
সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন,
সাইফুল প্রধান ইকবাল প্রধান আল হাসান মোঃ তুহিন আল আমিন আনোয়ার খ্যাঁন পাভেল মোঃ শরিফ পাটোয়ারী দ্বীন ইসলাম সোহেল রানা শুভআলী আহম্মেদ মিদা ফারুক আবু ফয়েজ। সহ আরও অনেকেই।
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন উদ্যমী ও কর্মঠ নেতা , আব্দুর রহিম রাজ, সি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হিসেবে রয়েছেন, মিজি জাফর ,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন , আবু ইউসুফ, কাউসার আলম, সালাউদ্দিন পলাশ,
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, এলেক্স রুবেল, যিনি ইতোমধ্যেই সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রচার সম্পাদক , রাজিব বেপারী
দপ্তর সম্পাদক,রাজিব পাটোয়ারী
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক,মো: জামাল মাহমুদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক,ওহিদ চৌধুরী সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক,সুমন খন্দকার ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক,কাউছার তালুকদার, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক,মহিন উদ্দীন মানিক, ধর্ম বিষয়ক সম্পদাক,এমরান নাজির
অর্থ, শিক্ষা, ধর্ম, আইটি, নারী ও যুব কল্যাণসহ বিভিন্ন শাখা-উপশাখায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন:
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ শাহীন মিয়া
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: হাফিজুর রহমান
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: হেলাল উদ্দিন
আইটি সম্পাদক: মোঃ জুবায়ের আহমেদ
নারী বিষয়ক সম্পাদিকা: আফরোজা বেগম
যুব বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ ফয়সাল আহমেদ
ক্রীড়া সম্পাদক: নাজমুল ইসলাম
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রত্যয়
নতুন কমিটি তাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর জানিয়েছে, তারা প্রবাসীদের কল্যাণ, এলাকার উন্নয়ন, প্রবাসী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা, অসুস্থ প্রবাসীদের চিকিৎসা সহায়তা, প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান এবং দেশের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য নানা রকম কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
সংগঠনের আহ্বান ও বার্তা
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংগঠনটি দলমত নির্বিশেষে সকল উত্তর কচুয়াবাসী প্রবাসীদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করছে, যেখানে ব্যক্তি নয়, দল নয়, প্রাধান্য পাবে মানবতা ও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। সংগঠনটি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে আহ্বান জানিয়েছে—“আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, আমাদের কচুয়া অঞ্চলকে গড়ে তুলি সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।”
দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার রক্ষাকবচ হিসেবে পুলিশ বাহিনী কেবলমাত্র বলির পাঁঠা নয়, বরং জনগণের আস্থা ও প্রত্যাশার জীবন্ত অবতার। সেই পবিত্র সংগঠনকে সুসংগঠিত, দক্ষ ও সচ্ছন্দ্যশীল করতে হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একেবারে পাথর-সদৃশ কঠোরতা ও সুস্পষ্ট ন্যায়পরায়ণতার অনিবার্যতা অনস্বীকার্য। ঠাকুরগাঁওয়ের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ বিতর্কে, এই মহাজটে মুখ থুবড়ে পড়ার বদলে এসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম তার অপরিহার্য কর্তৃত্ব ও দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন—সত্যিকার অর্থে প্রশাসনের মর্যাদা ও জনগণের বিশ্বাস রক্ষা করা যায়।
অনিয়মের অভিযোগের ঘূর্ণিঝড়ে তোলপাড়িত এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসপির অবাধ্য, আত্মবিশ্বাসী ও যথার্থ প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে জনসাধারণের মননে এক অন্যরকম নিরাপত্তার বাণী হয়ে। “১২০ টাকায় চাকরি হয় না,” কথাটি শুধু একটি সাধারণ বিবৃতি নয়, এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ বাস্তবতার প্রতিফলন, যা তুলে ধরে যে, ন্যায়বিচার বিক্রি হয় না, কেনাকাটা হয় না, আর কোনো দালালের দাপট দেশপ্রেম ও সততার উপর চেপে বসতে পারে না।
অন্যদিকে, প্রক্সি পরীক্ষার্থী আটক এবং অনিয়মের বিষয়ে সরাসরি তদন্তের অঙ্গীকার, জনগণের মনে সেই অনিশ্চয়তার নিকটতম প্রান্ত থেকে মুক্তির আলো জ্বালিয়েছে। মিডিয়ার প্রবল নজরদারির মাঝে এসপির এই সচ্ছতা ও সৎ পদক্ষেপ প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থাকে পুনর্জীবিত করার দিশারী। বরং, এই কঠোর পদক্ষেপ ও আপোষহীন মনোভাবই প্রমাণ করে, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতা পুলিশ বাহিনীর মূল ভিত্তি, যা বিকৃত বা ভ্রষ্ট হতে পারেনা।
যদিও নিয়োগে নানান অভিযোগ ও ধোঁয়াশা রয়েছে, কিন্তু এসপির পরিপক্কতা, বিচক্ষণতা ও কর্তৃত্বের কাছে এসব অভিযোগ যেন আদপে ধূলিসাৎ। এঁর দৃষ্টিতে, প্রশাসনই যেন এক কঠোর বিচারক, যার ঝাড়-ঝঁকিতে অনিয়মীরা অবলুপ্ত। নতুন প্রজন্মের জন্য এই কঠোরতা এক বিশাল প্রেরণা, যারা শুধুমাত্র যোগ্যতা ও নিষ্ঠার ওপর দাঁড়িয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবা করবে।
অতএব, এসপির এমন এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ ব্যবস্থায় ন্যায়বিচারের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটাই হবে আমাদের আশা ও প্রত্যাশার একমাত্র ভিত্তি। এভাবে আমরা শুধু প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব না, দেশের গণতান্ত্রিক আদর্শ ও আইনশৃঙ্খলার অনন্য মর্যাদা রক্ষাও সম্ভব হবে।
এই কঠোর ও দায়িত্বশীল দায়িত্ববোধের অক্ষয় প্রেরণা দিয়ে, এসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম যেমন প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা ও সম্মান বাড়িয়েছেন, তেমনি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ ব্যবস্থায় রূপান্তরের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন। এটাই হবে সরকারের ও জনগণের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন, যা যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।