দাউদকান্দির মোহাম্মদপুরে চোরের দৌরাত্ম্যঃ জনজীবন অতিষ্ঠ, প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যেন আজ চোরের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রাম রাত হলেই আতঙ্কের নগরীতে রূপ নেয়।
দলবেঁধে সংঘবদ্ধ চোরচক্র গভীর রাতে নির্দিষ্ট টার্গেট করা গৃহে হামলে পড়ে, লুটে নেয় সর্বস্ব। ভোর হলে ঘুম ভাঙতেই অসহায় গৃহস্থ আবিষ্কার করেন- দেয়াল বেয়ে আসা চোরেরা রাতের আঁধারে উধাও করে দিয়েছে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
প্রতিদিন কারো না কারো ঘর থেকে হাহাকার ভেসে আসে। কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে একই করুণ বাস্তবতার সাক্ষী হন। ধারাবাহিক এই লুটপাট ইতোমধ্যে জনমনে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক তৈরি করেছে।
এমনকি ৪ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে জাতীয় দেশপত্রের মফস্বল সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম মহিনের বাড়িতেও সংঘবদ্ধ চোরচক্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে তারা নিয়ে গেছে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ দামী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
এ যেন এক প্রহসন- দিনের বেলায় সভা-সমিতি আর রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরচক্রের দাপট। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- প্রশাসন কি ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে? নাকি এই চক্রের পেছনে অদৃশ্য প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে?
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন- এভাবে চলতে থাকলে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে। সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে, আর মোহাম্মদপুর পরিণত হবে দুর্বৃত্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে। সাধারণ মানুষ এখন আর কেবল ক্ষতির হিসাব করছেন না, বরং প্রশাসনের প্রতি আঙুল তুলছেন।
অবিলম্বে এ সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সকল সদস্যকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছে জনসাধারণ। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চোরচক্রের সহযোগী হিসেবেই গণ্য করবে এলাকাবাসী।