test website maintenance

Staff Reporter
Mobile: 01970451188
Gmail: jakir451188@gmail.com
দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দিলেন । জাকিরুল ইসলাম
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যেন আজ চোরের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রাম রাত হলেই আতঙ্কের নগরীতে রূপ নেয়।
দলবেঁধে সংঘবদ্ধ চোরচক্র গভীর রাতে নির্দিষ্ট টার্গেট করা গৃহে হামলে পড়ে, লুটে নেয় সর্বস্ব। ভোর হলে ঘুম ভাঙতেই অসহায় গৃহস্থ আবিষ্কার করেন- দেয়াল বেয়ে আসা চোরেরা রাতের আঁধারে উধাও করে দিয়েছে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
প্রতিদিন কারো না কারো ঘর থেকে হাহাকার ভেসে আসে। কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে একই করুণ বাস্তবতার সাক্ষী হন। ধারাবাহিক এই লুটপাট ইতোমধ্যে জনমনে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক তৈরি করেছে।
এমনকি ৪ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে জাতীয় দেশপত্রের মফস্বল সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম মহিনের বাড়িতেও সংঘবদ্ধ চোরচক্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে তারা নিয়ে গেছে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ দামী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
এ যেন এক প্রহসন- দিনের বেলায় সভা-সমিতি আর রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরচক্রের দাপট। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- প্রশাসন কি ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে? নাকি এই চক্রের পেছনে অদৃশ্য প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে?
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন- এভাবে চলতে থাকলে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে। সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে, আর মোহাম্মদপুর পরিণত হবে দুর্বৃত্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে। সাধারণ মানুষ এখন আর কেবল ক্ষতির হিসাব করছেন না, বরং প্রশাসনের প্রতি আঙুল তুলছেন।
অবিলম্বে এ সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সকল সদস্যকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছে জনসাধারণ। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চোরচক্রের সহযোগী হিসেবেই গণ্য করবে এলাকাবাসী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক, মহিদুল ফারুক, যার নাম বলতেই বুঝে টাকা আর টাকা বেশবুশে বুঝার উপায় নেই শত কোটির অধিক পরিমাণে টাকার মালিক,
চাকরি জীবনটা ২০০৪ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
সেই যোগদানের পর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি করেছেন দেশের বড় বড় উপজেলায় পিআইও গিরি। দু-হাতে কামিয়েছেন অবৈধ টাকা করেছেন নামে বেনামে অঢেল সম্পদ সেই হিসেবে বিয়ে করছেন তার পূর্ব পরিচিত মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকদেরও আর পিছু তাকাতে হয়নি অবৈধ টাকার বিনিময়ে স্বজনপ্রীতিকরে নিয়ম বহিভূতভাবে আপন শালিকাকে জাল সার্টিফিকেটে/সনদের মাধ্যমে চাকরিদেন সে বর্তমানে নাটোর সদর উপজেলায় প্রষনে কর্মরত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে দুলাই ভাই এপিডির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্রীজ করে দিবে টিআর, কাবিটা, কাবিখা স্পেশাল বরাদ্দ করে দিবে বলে চেয়ারম্যান/মেম্বারদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। মহিদুল ফারুক ছাত্রজীবনে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
সেই সুবাদে শেখ হাসিনার আমলে মায়ার হাত ধরে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চলে আসেন গ্রামীণ রাস্তায় সেতু কালভার্টের প্রকল্পে ২০১৬ সালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। তারপর ২০১৮ সালে মায়া চৌধুরী হাত ধরে ০১ কোটি টাকার মাধ্যমে বাগিয়ে নেন এপিডি পদ।
সেখানে জয়েনিং পর কয়েক বছরে হয়ে যান আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ রয়েছে ঢাকার বনশ্রী ০৪ টি ফ্লাট যার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা, বেইলী রোডের কেএফসি বিল্ডিং রয়েছে ০২ টি যার মূল্য আনুমানিক ০৩ কোটি টাকা,
আফতাব নগরে রয়েছে ২০ কাঠা জায়গা যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা, মিরপুর গৃহায়নে রয়েছে তার ০৩ টি ফ্লাট যার আনুমানিক মূল্য ০৬ কোটি টাকা, ঢাকার পূর্বাচলে রয়েছে রিসোর্ট যার মূল্য ৫০ কোটি টাকা।
নাটোর সদর পৌরসভার ০৩ নং ওয়ার্ডে চকরামপুরে রয়েছে ভিআইপি হোটেলের পাশে এক সাড়িতে তিনটি বিল্ডিং ১০ তলা ফাউন্ডেশন করে যার ০৪ তলা করে কমপ্লিট যার মূল্য আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা। তার বাবা ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৈনিক শ্রমিক(মাষ্টাররোল),
সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠা হয় নাটোর পৌরসভায়, তার এক ভাই নাটোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ড্রাইভার, তাদের গ্রামের বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলায়। মহিদুল ফারুক অভাব অনটনের সংসারে কোন রকম টেনে টুনে হোটেলে বয়ের কাজ করে পড়াশোনা চালিয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে।
তাছাড়া এপিডি মহিদুল ফারুক এর বিরুদ্ধে গ্রামীন রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নিমাণ প্রকল্পে একাধিক কার্য-সহকারী বদলী বানিজ্যের অভিযোগ তাকে টাকা দিলে বদলির ফাইল উঠে না দিলে তাকে উল্টো দেশের শেষ সীমানায় বদলি করার ভয় দেখায় বলে আপনার বিরুদ্ধে মহাপরিচালক মহোদয় এর কাছে অভিযোগ আসছে আপনাকে শাস্তি মূলক বদলি করা হবে।
তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট পিআইওদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভিযোগ রয়েছে টুঙ্গিপাড়া পিআইওকে দাউদকান্দি উপজেলায় পোস্টিং করানোসহ গোপালগঞ্জ জেলার সকল পিআইওদেরকে নিরাপদ উপজেলায় পোস্টিং করিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে তাদেরকে সে বিভিন্ন তদবির লবিং করে মামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলিগের পক্ষে টাকা বিতরণ অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে এপিডি মহিদুল ফারুককে একাধিকবার মোবাইল নম্বর কল করা হলে সে জানায় এগুলো আমার পৈত্রিক সম্পদ।এ বিষয়ে এ পিডি সফিকুল ইসলামকে কল করা হলে তিনি কলটি ধরেন নি।