বান্দরবানে জনস্বাস্থ্যের জুবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবান অফিসে কর্মরত মোহাম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ ও ‘পদের অপব্যবহার’-সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। অনুসন্ধানী টিম সরেজমিনে তদন্ত করে এই অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি বরং উল্টো জুবায়েরকে চিহ্নিত করেছে একজন নিষ্ঠাবান, সৎ এবং দায়িত্বশীল কর্মচারী হিসেবে।
দায়িত্বে সততা, কাজে নিষ্ঠা
পেশাগত জীবনের শুরুতে একজন পাম্প চালক হিসেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগ দেন মোহাম্মদ জুবায়ের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অফিসের বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং কর্তৃপক্ষের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে হিসাব শাখায় সহকারী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন জুবায়ের।
তিনি বলেন, “আমি নিজে থেকে কোনো পদ গ্রহণ করিনি। অফিসের প্রয়োজনে ও অনুমতির ভিত্তিতে আমাকে কাজ করতে বলা হয়েছে।”
প্রশাসনের দৃষ্টিতে জুবায়ের
এ প্রসঙ্গে বান্দরবান জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, “জুবায়ের দীর্ঘদিন অফিসের কাজ করে দক্ষ হয়ে উঠেছে। তার সততা ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করেই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করেন না।”
পাম্প স্টেশনে জনবল সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকারি পদ সীমিত হলেও ডেইলি বেসিসে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। কোনো সংকট নেই।”
অভিযোগের পেছনে কী উদ্দেশ্য?
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে অনুপম দে আরও বলেন, “সম্পদের হিসাব আমরা ঢাকায় পাঠাই। জুবায়েরের ব্যক্তিগত সম্পদের বিষয়ে আমাদের অফিসে কোনো অভিযোগ নেই।”
স্থানীয়দের বক্তব্য: “উনি আমাদের গর্ব”
জুবায়েরের নিজ গ্রাম, জীবনযাত্রা এবং অফিস ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তিনি একজন ধার্মিক, সৎ ও সাধারণ জীবনযাপনকারী মানুষ। এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “জুবায়ের ভাই সব সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। অফিসে নিয়মিত যান, সততার সঙ্গে কাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সত্যিই কষ্টদায়ক।”
চূড়ান্ত বিশ্লেষণ: এক জনকর্মচারীর সম্মানের ওপর অপচেষ্টা
জুবায়েরকে ঘিরে যে অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। কোনো প্রকার প্রমাণ ছাড়াই একজন সৎ সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে এমন অভিযোগ ছড়ানো এক ধরনের মানহানির শামিল।
অনুসন্ধান বলছে—“মোহাম্মদ জুবায়ের একজন নিষ্ঠাবান, সৎ ও অভিজ্ঞ কর্মচারী, যিনি অফিসের প্রয়োজনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতা নেই