খুঁজুন
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ, ১৪৩১

তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার পতন হয়েছে-টিপু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার পতন হয়েছে-টিপু

 

মেহেদী হাসান রিয়াদ, নাটোর থেকে :

 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসীবাদী সরকার হাসিনার পতন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি; বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু।

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত সুধি সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

আড়বাব ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এ.কে.এম জালাল উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক শ্রী যুক্ত বাবু রঞ্জিত কুমার সরকার।

টিপু বলেন, ৫ মাস চলে গেলেও আমাদের নেতাকর্মীদের নামের মামলা গুলো এখনো প্রত্যাহার করা হয় নাই বরং নতুন নতুন মামলা করা হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে টিপু বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই- থানার সকল কনস্টেবল থেকে শুরু করে সব পুলিশ কর্মকর্তা, ইউএনও, ডিসি, সচিব, জজ,

ডিআইজি সকলেই হাসিনার সুপারিশে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলো। আপনারা শুধু ডিসি আর এসপিদের ট্রান্সফার করেছেন। আজকে শেখ হাসিনার প্রেতআত্মা সকল সচিব আপনাদের ঘিরে রেখেছে।

তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন- নির্বাচন করবেন! ৮ সালের মতো ৩০টা সিট ধরাই দিতে চান? আগে এই জায়গা গুলো সংস্কার করুন। এই সংস্কার সমূহ না হলে আগামী দিনেও সুষ্ঠু ভোট হবে না। আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মারা যে যেখানে আছে সকলকে প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন- আজকে চেয়ারম্যান মেম্বার, ওসি, এসআই, ইউএনও, এডিসি এরা সকলে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে পুনঃবাসন করার চেষ্টা করছে। তাই আমি সরকার প্রধানকে বলবো- আপনারাও কি এদের পুনঃবাসন করবেন না সংস্কার করে সঠিক লেভেল ফিল্ড সৃষ্টি করবেন?

টিপু বলেন, নাটোর তথা লালপুর-বাগাতিপাড়া এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন বেগম জিয়া। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নদী খনন থেকে শুরু করে বেকার সমস্যা সমাধান এবং আমাদের ঐহিত্য চিনি কলকে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করা হবে।

 

সুধি সমাবেশে গোপালপুর পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম রানা, লালপুর উপজেলা বিএনপি সাবেক দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক টমি, লালপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক ফিরোজ হোসেন মিল্টন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান সরকার, গোপালপুর পৌর যুবদল ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবুল খায়ের,

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো মতিউর রহমান, লালপুর উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব মঞ্জু আহমেদ রয়েল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজির উদ্দিন বাবু সহ বিভিন্ন স্তরের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় আপস না হওয়ায় কি রায়পুরায় জোড়া খুন?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪১ অপরাহ্ণ
মামলায় আপস না হওয়ায় কি রায়পুরায় জোড়া খুন?

 

আশিকুর রহমান :

 

নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হাতে একই পরিবারের দুজনকে হত্যা দায়ের করা মামলায় আপস না করায় কি জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে? এমন প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। আর এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী। প্রতিপক্ষের হাতে হত্যা শিকার কামাল ও মাসুদ হত্যার বাদী মানিক মিয়া (৫৫) ও তার ভাগনি কল্পনা বেগম (২৫)।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোরে উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। অপরদিকে আরেক আসামী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাছেদ মেম্বার রয়েছেন আত্মগোপনে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল মানিক মেম্বারকে হারিয়ে স্ত্রী ও স্বজনরা পাগলপ্রায়। ঘরের ভেতরে উপস্থিত সবার চোখে পানি। নিহত মানিকের স্ত্রীর কান্না ও বিলাপে ভারী হয়ে উঠছিল পরিবেশ। মেঝেতে বসা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগা ছেলে ফুপিয়ে কাঁদছেন। মামলার বাদী ও মানিক মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বলেন, আমার স্বামী জীবনে কোনো অন্যায় কাজ করে নাই। এমন শোক আমি কেমনে বইবো।

কলিজা ছিঁড়ে সংসারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তিটা যে চইলা গেছে। আমার স্বামীরে অনেক বুঝাইলাম পায়ে হাতে ধরে বললাম। তুমি কোর্টে স্বাক্ষী দিতে যেও না। কত কষ্ট করে আমাদের সংসার চলে, যদি কিছু একটা হয়ে যায় তাহলে আমাদের সংসার কে দেখবে? তুমি কোন ভাবে আর কোর্টে যাবে না। এও বলছি, তোমার যদি কিছু হয়ে যায় আমরা আর বাঁচমু না।

আমার সন্তানরাও তারে বুঝাইছে। ছেলে বলছে তুমি পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। কোর্টে গিয়ে স্বাক্ষী দিও না। সবার কথা খালি চুপ কইরা শুনল। একটা বারও মনে করল না, আমি যদি না বাঁচি তাহলে আমার সংসার দেখবো কেডা। বলতে বলতে জাহানারা বার বার মোর্চা যাচ্ছিলেন।

নিহত কল্পনা বেগমের শাশুড়ি হেলেনা বেগম বলেন, মেথিকান্দা এলাকার হারুন অর রশিদ, বাছেদ মেম্বার ও নান্নু হাজীর নামে হত্যা, হুমকি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ সহ রায়পুরা থানা ও নরসিংদীর আদালতে প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে রায়পুরার আলোচিত কামাল ও মাসুদ হত্যা মামলা দুটি আদালতে স্বাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে।

‘মামলা আপসের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা মানিক মেম্বারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে এবং গুলি ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এসময় আমার ছেলের বউ কল্পনা বেগমকেও গুলি করে তারা হত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মানিক মেম্বার চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। সে মাসুদ ও কামাল হত্যা মামলার বাদী ছিলেন।

অনুসন্ধান ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ৮টার দিকে রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মানিক মিয়া (মেম্বার), হযরত আলী, কামাল ও মাসুদ মিয়া পঁচাবোয়ালিয়া এলাকায় পৌঁছালে লিয়াকত আলী ওরফে লইক্কা মিস্ত্রির ছেলে হারুন অর রশিদ,

নুর মোহাম্মদ, দুলাল সহ আরও ১৫/২০ জন তাদের পথরোধ করে কামাল মিয়াকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনার ২ মাস পার না হতেই উক্ত আসামীরা একই বছরের ২৬ এপ্রিল দুপুর আড়াইটায় শ্রীরামপুর মধ্যেপাড়া গ্রামের আঃ হালিম প্রিন্সিপালের বাড়ির সামনে মানিক ডাক্তারের বাড়ির ভিতর ঢুকে কামাল মিয়াকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

উক্ত দুটি হত্যাকান্ডে তৎকালীন সময়ে নিহত মানিক মিয়া বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। রায়পুরা থানা মামলা নং ০৪/২০০৪ তাং- ৮/২/২০০৪ ও ২২/২০০৪ তাং- ২৬/৪/২০০৪। পরে থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের করে উপরোক্ত আসামিরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উক্ত মামলায় আসামীরা দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হোন।

পরে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী তলব করলে বাদী সহ বেশ কয়েকজন স্বাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে করে আসামীরা বাদীর উপর বেপরোয়া ও হিংসাত্মক হয়ে উঠেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী একেএম মনির হোসেন বলেন, নিহত মানিক নরসিংদী আদালতে চলমান ২টি হত্যা মামলার বাদী ছিলেন।

দুটি মামলাই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ ও ২ এ পৃথক পৃথক মামলায় সাক্ষী অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতে মাসুদ হত্যা মামলা গত ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) বাদী সাক্ষ্যের দিন ধার্য্য ছিল। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বাদীকে হত্যা গুরুত্বর অপরাধ। মাসুদ হত্যা মামলার বাদীকে হত্যার ঘটনা নেক্করজনক ঘটনা।

এটা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। কোনো হত্যা সংগঠিত হলে ভিকটিমের পরিবার বা সদস্য বিচার প্রার্থনায় আদালতে দারস্থ হয়। ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করবে রাস্ট্র।

তার বাদী যদি বিবাদীর হাতে খুন হন তাহলে ন্যায় বিচারে বাধাগ্রস্ত হবে বলে আমি মনে করি। নিহত মানিক মিয়ার ছেলে কাওসার জানান, ২০ বছর আগে লইক্কা মিস্ত্রির বাড়ির লোকজন আমার দুই চাচাকে গুলি ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

এই নৃশংস হত্যাকান্ডের মূল নায়ক হারুন, বাছেদ মেম্বার ও দুলাল। আর এ হত্যা মামলার বাদী ছিলেন আমার বাবা। আমার চাচা হত্যা মামলার আপোষ করতে আমার বাবা ও আমাদের পরিবারকে অনবরত চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন তারা।

কিন্তু আমার বাবা ছিলেন আপোষহীন একজন মানুষ। সত্য ও ন্যায়ের পথে ছিলেন তিনি অবিচল। তাদের হুমকি-ধমকি তোয়াক্কা না করে তিনি আদালতে স্বাক্ষী দিয়েছিলেন। তাই আজ তার এই পরিনতি। তিনি আরও বলেন, একটা খুনকে আড়াল করতে আজ তারা আরও দুটি খুন করেছে।

এভাবে চলতে থাকলে খুনের রাজত্ব কায়েম হবে সর্বত্রে। তাই আমি একজন পিতৃহারা সন্তান হিসেবে প্রশাসনের নিকট প্রার্থনা করছি দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত মানিক মেম্বার একজন সহজ সরল ও উদার স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনও মাথা নত করেনি। তার ভাই মাসুদ ও কামালকে হত্যা করে লইক্কা মিস্ত্রি বাড়ির লোকজন। এ ঘটনার পর লইক্কার বাড়ির লোকজন বেশ কয়েকবার আপোষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানিক এতে সাড়া দেননি।

সাড়া না দেওয়ার কারণে এর আগেও লইক্কার বাড়ির লোকজন বেশ কয়েকবার মানিক ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ছিল। এর জের ধরে গত শনিবার ৭ ডিসেম্বরের লইক্কা বাড়ির হামলায় মানিক মেম্বার ও তার ভাগনি কল্পনা বেগম নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। মানিক চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং কল্পনা বেগম একই গ্রামের আবু ছালেকের স্ত্রী।

পূর্ববিরোধের জেরে ভোরে লইক্কা মিস্ত্রির ছেলে হারুন-অর-রশিদ ও বাছেদ মেম্বারের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মানিক মেম্বারের উপর আতর্কিত এ হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষই মারামারিতে জড়িয় পড়েন।

হামলা থেকে বাঁচতে এসময় মানিক মেম্বার পাশ্ববর্তী বশির উদ্দিনের বাড়ির ঘরে ভিতর আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তারা তাকে ঘর থেকে টেনে বাইরে এনে গুলি করে এবং কুপিয়ে দেহ থেকে তার পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা এলাকাবাসী। এসময় প্রাণ হারান মানিকের ভাগনি কল্পনা বেগম নামে আরেক নারী।

সত্তোর বয়সী বৃদ্ধা মহিলা জানান, ফজরের নামাজ শেষ করে উঠানের দিকে গেলে দেখি হারুনের লোকেরা বন্দুক, রামদা, চাপাতি, টেঁটা হাতে কয়েকশ লোক নিয়ে মানিক মেম্বারের বাড়ির দিকে যাইতাচ্ছে। গ্রামের অনেক মানুষ তখন ঘুমিয়ে ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা এ হামলা করে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, রায়পুরার নজরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতা জের ধরে জোড়া খুনের ঘটনার অভিযোগে এজাহারভুক্ত ২নং আসামী হারুন-অর-রশিদকে গত ৫ জানুয়ারী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নরসিংদীতে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
নরসিংদীতে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার 

 

 

আশিকুর রহমান :

নরসিংদীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তথ্যটি নিশ্চিত করেন নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জেলার শিবপুর উপজেলার আশরাফপুর গির্জাপাড়া গ্রামের আবদুল হাই এর ছেলে শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভুঁইয়া রয়েল (২৫), পলাশ উপজেলার ছোট তারগাও গ্রামের কাদির আকন্দের ছেলে জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), একই উপজেলার সেকান্দরদি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০),

গড়পাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), কাজীরচর গ্রামের মৃত আখতারুজ্জামানের ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজু মিয়া (৩১), শিবপুর উপজেলার গির্জাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শিবপুর ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদ আফরাদ(১৮),

মনোহরদী পৌরসভার চন্দনবাড়ি গ্রামের রাজু মোল্লার ছেলে মনোহরদী ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ মোল্লা (২৪), মাধবদীর পাঁচদোনা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির (২৮) ও পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে পলাশ উপজেলা

ছাত্রলীগের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম(২৬)।

ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে একটি হায়েস গাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাহবুব হোসেন মনির এফআইআরভূক্ত আসামি।

বাকিরা একই মামলার সন্দেহাতীত আসামি। তাদেরকে একটি বিস্ফোরক মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর আজ সকালে তারা নরসিংদী জেলায় প্রবেশকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ নরসিংদীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়।

তিথি হত্যা রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
তিথি হত্যা রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই 

 

 

আশিকুর রহমান :

 

নরসিংদীতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই),নরসিংদী। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছেন তারা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে পিবিআই নরসিংদী কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার (এডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার পাঁচই গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে রমজান শেখ (২২) ওরফে লিমন, তার ভাই হাসিবুর রহমান (৩১) ওরফে শান্ত, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার গন্ডা গ্রামের ইনসান মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২০) ও নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার চর গোয়াশ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইমন আলী (২১)।

এসময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত হওয়া নগদ ১০,০১১০০ (দশ লক্ষ একহাজার একশত) টকা, ৫টি মোবাইল সেট এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ১ জোড়া হাতের গ্লাভস, ৩ টুকরো রশি, মুখের মাক্স এবং ১টি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সুপার (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, সুমনা আক্তার তিথি।

বয়স ১৩ বছর। নরসিংদী সদর উপজেলার শেখেরচর এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে। গত ২৭ জানুয়ারী রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা বাড়ীর ভিতর ঢুকে সুমনা আক্তার তিথি(১৩) ও তার মা আসমা আক্তার (৪৫) কে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় সুমনা আক্তার তিথি ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং মা গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উক্ত ঘটনার পর নরসিংদী মডেল থানায় মামলা দায়ের পর পিবিআই নরসিংদী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একাধিক দল নরসিংদী, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ,

নেত্রকোনা ও ফরিদপুর, মাদারীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ফরিদপুর থেকে রমজান শেখ ওরফে লিমন ও তার ভাই হাসিবুর রহমান শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে অপর আসামী কাউসার মিয়া ও ইমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে এ ঘটনার সাথে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং তাদের দেখানো মতে বাদীর লুন্ঠিত হওয়া নগদ দশ লক্ষ একহাজার একশত টাকা উদ্ধার করেন। তিনি আরও জানান,

আসামী লিমনের সাথে বাদীর পূর্বপরিচিত। বাদীর বড় মেয়ে বিদেশে থাকার সুবাদে বিকাশের মাধ্যমে বাদীর নিকট টাকা পাঠাতেন। বিকাশ থেকে ওই টাকা তুলে বাদী ঘরে নিয়ে রাখেন। তা জানতেন লিমন।

টাকার প্রতি লোভ হয় তার। বিষয়টি আলাপ আলোচনা করেন অপর আসামী কাউসারের সাথে। পরে তারা নিকটস্থ গাঙ পাড়ে বসে আরও দু’জনের সাথে পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৭ জানুয়ারী রাতে ৪ জন মিলে এঘটনা ঘটায়।

আসামীরা কিশোরী তিথিকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা ও মুখমন্ডলে এবং তার মা আসমা আক্তারকেও একই কায়দা আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই কিশোরী তিথি মারা যায়। পরে আসামীদের পুলিশী প্রহরায় আদালতে প্রেরণ করলে উক্ত আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারী শেখেরচরে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতর মা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরচর (বাবুরহাট) বাজারের এবতেদাদিয়া মাদ্রাসার পূর্ব পাশে মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন শেখেরচর পুলিশ ফাঁড়ীর পরিদর্শক মোঃ মাসুদ আলম।

এতে মোফাজ্জলের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে সুমনা আক্তার তিথি (১৩) নিহত এবং তার স্ত্রী আসমা আক্তার (৪০) গুরুত্বর আহত হয়। খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কারুজ্জামান ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মামলায় আপস না হওয়ায় কি রায়পুরায় জোড়া খুন? নরসিংদীতে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার  তিথি হত্যা রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই  তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার পতন হয়েছে-টিপু নিসচা দাউদকান্দির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ নরসিংদীতে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ আটক-২ চট্টগ্রামে ডিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার, আটক-১ টিকটকে আসক্ত মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা একুশে বই মেলায় দাউদকান্দির দুই তরুণ লেখকের বই প্রকাশিত হচ্ছে দেশে আসতেই গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন কুমিল্লার দেবিদ্বারে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত  দেবিদ্বারে জমি ক্রয়ে ব্যার্থ হয়ে কৃষক’কে হত্যার চেষ্টা, থানায় লিখিত এজাহার দায়ের  জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক এসোসিয়েশন’র কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন তিতাসে মাটি কাটতে বাঁধা দেওয়ায় গৃহবধূকে রক্তাক্ত জখম ও শ্লীলতাহানি  দেবিদ্বার উপজেলা জামাতের কর্মী সম্মেলন বাস্তবায়ন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত   দাউদকান্দিতে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী রহঃ ৭৫তম জম্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত  চাঁদপুরে ভাসমান সেচ প্রকল্পের উদ্বোধন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো, বাছিরের মরদেহ দেড় মাস পর দেশে এসেছে আমাদের কাছেই নিরাপদ – হাসনাত আব্দুল্লাহ ব্রাহ্মণপাড়া পুকুরের পাড় থেকে তরুণের মরদেহ উদ্ধার ভিন্ন নারীকে মেজর ডালিমের স্ত্রী বলে প্রচার শিশু বলাৎকারের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার রাবেয়া বসরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় পাঠদানে চরম ভোগান্তি ডিসেম্বরে কুমিল্লায় ৭ খুন, ২৫ নারী ও শিশু নির্যাতন মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার ও কৃতি সংবর্ধনা কুমিল্লায় রেজভীয়া ফোরাম বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের ধর্ম ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে হাসিনা – আব্দুস সালাম উচ্ছ্বাস আনন্দ আবেগে জমে ওঠে দ্য টাইমস অফ ঢাকার অনুষ্ঠানমালা মেঘালয়ে কয়লা চোরাচালানে গিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকরা বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে  
Open chat
Hello
Can we help you?