তিতাসে ৫০ বছরের পাখিদের স্বর্গরাজ্য এখন আতঙ্কের রাজ্য: স্থানীয়দের হাতে প্রতিদিন নিধন শত শত দেশীয় ও মৌসুমী পাখি

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কালাচানকান্দি গ্রামের মরহুম শাহাদাত হোসেনের পুকুরপাড়—যা গত অর্ধশতাব্দী ধরে ছিল দেশীয় ও মৌসুমী নানা প্রজাতির পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল—এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের রাজ্যে। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তির হাতে প্রতিদিনই নির্বিচারে নিধন হচ্ছে শত শত পাখি।
প্রতিবছর শীত মৌসুমে এই পুকুরপাড়ে আশ্রয় নিতো বক, পানকৌড়ি, শকুন, চখাচখি, বালিহাঁসসহ নানা প্রজাতির দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি। বহু বছর ধরে এই এলাকা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ছিল “পাখির স্বর্গরাজ্য” হিসেবে। কিন্তু সম্প্রতি কিছু লোভী মানুষের হাতে ফাঁদ পেতে, গুলি করে ও নেট দিয়ে ধরা শুরু হয়েছে পাখি, যা এখন তাদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে।
এই মর্মান্তিক খবর জানার পর রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিতাস উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর রুহুল আমিন, জায়গার মালিক কামাল হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও সুমাইয়া মমিন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যারা এই প্রাণী নিধন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পাখিদের নিরাপদ আবাস পুনঃস্থাপনে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”
স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী ও সচেতন মহল প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তিতাসের এই ঐতিহ্যবাহী পাখির আশ্রয়স্থলটি আবারও ফিরে পায় তার পুরনো সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা।