কুমিল্লার তিতাসে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে ৪ নারীকে
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় অ স্ত্র ও গু লিসহ চার নারীকে গ্রে ফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায়
অভিযান নামে নাটক মঞ্চস্থ করে যৌথবাহিনি।
নিজেরাই মালু মিয়ার রান্না ঘরে দেশীয় অস্ত্র রেখে
মিথ্যা উদ্ধার নাটক করে গ্রেফতার করা হয় উপজেলার শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা (২৯), জসিমের স্ত্রী আমিনা (৩৭), জহিরের স্ত্রী জোবেদা (৩৩) ও আব্দুল কাদিরের স্ত্রী শান্তি বেগমকে (৬০)।
এবিষয়ে
লিজা আক্তার বলেন, প্রথমে পুলিশ এসে আমাদের ঘর সার্চ করতে চাইলে আনরা সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে, তারা জোর করে ঘরে ঢুকে। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কিছুই না পেয়ে বাইরে চলে আসে। কিছুক্ষণ পর নাসিরের দুই ছেলে শাওন, সানজিদ ও আলী হায়দার কুট্টির দুই ছেলে এসে সাইম নাঈম

পুলিশকে নিয়ে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে এবং ডিভাইস খুলে নেয়। অতপর ঘরে ঢুকে রান্না ঘর থেকে নাকি অস্ত্র উদ্ধার করে। কিন্তু আমরা কেউই দেখি নাই।
এরপর তারা সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা দেড় ঘন্টা পর এসে আমার তিন ঝা ও অপর একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মহিলারা অস্ত্র দিয়ে কি করবে? আমাদের ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নেই, সবাই প্রবাসি। মহিলা পেয়ে তারা আমাদেরকে ফাঁসিয়েছে।
বড়ঘাট এলাকায় আমীর ভাসুরের মার্কেট আছে। তিনি সেখানে ভাড়ার টাকা আনতে গেলে কুট্টির দুই ছেলে সাজিদ ও শাওন দশ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। এই নিয়ে আমার ভাসুরের সাথে তর্ক হয়। রাতে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে তারা এমন ঘটনা ঘটায়। এছাড়া মালু মিয়ার সন্তানরা প্রবাসে গিয়ে নিজেরা ভালো অর্থকরী আয় করায় তাদের হিংসা হয়। জনগণের জন্য নিজ অর্থায়নে তারা একটি রাস্তা নির্মাণ করায়, এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়। সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করে।
বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কুট্টি, নাসির ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক মিয়া। চক্রান্ত করে তারাই যৌথ বাহিনী দিয়ে ন্যসক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে৷ 
থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক চৌকস টিম শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে অ ভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১টি বিদেশি রি ভলবার, ৬ রাউন্ড গু লি, ১টি এলজি ব ন্দুক ও ২টি পা ইপগান উদ্ধারসহ তিন নারীকে গ্রে ফতার করা হয়।
পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একই রাতে একই এলাকার আব্দুল কাদিরের বাড়িতে পৃথক অ ভিযান চালিয়ে ১০টি সীসা কার্তুজ ও ৫টি ধারালো অ স্ত্র উদ্ধার এবং আরও এক নারীকে গ্রে ফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, “গ্রে ফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অ স্ত্র আইনে পৃথক দুটি মা মলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাদের কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”



