তিতাসে ভূয়া দলিল সৃজন করে মনিরুজ্জামান লিটনের কবরস্থান দখলের পায়তারা
তিতাস প্রতিনিধি।
কুমিল্লার তিতাসে ভূয়া দলিল সৃজন করে মনিরুজ্জামান লিটনের কবরস্থান দখলের পায়তারা।
এমনই অভিযোগ করেছেন সাতানী ইউনিয়নের বারকাউনিয়া গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে মোঃ লিটন বেপারী। সেই সাথে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রচারণার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জমি দখল ও সুরক্ষা প্রাচীর ভাঙচুরের অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট।
এছাড়া দিয়ারা রেকর্ড হয়েছে রহিমুদ্দিনের ছেলে আলী মিয়ার নামে। ২০১২ সালে এসে আবার আরেক জনের নামে দিয়ারা রেকর্ড হয় কি করে? এর আগে চর কুমারিয়ার আব্দুল কাদিরের ছেলে শহিদ উল্লাহ জালিয়াতি করে ভূয়া খারিজ করেছিলো কিন্তু তার খারিজ টিকে নি।
সিএস ৪০ খতিয়ানে রহিমুদ্দুিন। আরএস খতিয়ানে গণি মিয়া, আলী মিয়া ও কানু মিয়ার নামে। ১৯৭৫ সালে আলী মিয়া বিক্রি করে জায়েদ ও শেখ ফরিদ এর কাছে সাড়ে দশ শতক। যাহা ২৯০ খতিয়ানে ৮৫৬ দাগে হাল দাগ ২২৪৫।
১৯৭৯ সালে সাড়ে দশ শতক জায়গা শেখ ফরিদ বিক্রি করেন জলিল মিয়া, অলি মিয়া, মনিরুল হক ও ধনু মিয়ার কাছে।
১৯৭৯ সালে জলিল মিয়ার নিকট জায়েদ মিয়া বিক্রি করেন ১.৫ শতক।
তাছাড়া জায়গাটি ১৯৭২ সাল থেকেেই আমাদের পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বারকাউনিয়া পূর্বপাড়া বেপারী বাড়ী পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
আলী মিয়া ১৯৭৫ সালে বিক্রি করে নিঃস্ব হওয়ার পর তার মেয়ে ২০১৩ সালে কিভাবে সম্পত্তি বিক্রি করে? এই জায়গা নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান অবস্থায় একাধিক দলিল ও একাধিক খারিজ হয় কি করে? এটা সম্পূর্ণ জালিয়াতি।
গত ১৩ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৪ টায় তিতাস থানায় বিষয়টি নিয়ে বসলে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে আদালতে মামলা চলমান থাকায় রায় না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে অপেক্ষা করতে বলেন।
আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্ট ট্যাগ দেওয়ায় মোঃ লিটন বেপারী বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমরা হামলা মামলার শিকার হয়েছি।
আর আমি ২০০১ সালে যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে আমি সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমার অপর ৩ ভাই প্রবাসি। তারা রাজনীতির করবে কখন? আমি অসত্য ও বানোয়াট তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বিজ্ঞ আদালতে যেহেতু দুই পক্ষের মামলাই বিচারাধীন রয়েছে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় যার যার পক্ষে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধও করেন তিনি”।



