গুলশান ভ্যাট অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গুলশান এক্সাইজ, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার এর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ গ্রহণ, অনৈতিক সম্পদ অর্জন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং অপেশাদার আচরণের অভিযোগ এনে তাকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহিনু ইসলাম মহিন
সম্প্রতি সম্পাদক মাহিন ইসলাম মহিন স্বাক্ষরে অভিজিৎ কুমারের বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এসব অভিযোগ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গুলশান ভ্যাট অফিসে কর্মরত অবস্থায় অভিজিৎ কুমার একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল প্রসেস করেন না এবং সেবা প্রদানের পূর্বশর্ত হিসেবে অর্থ দাবি করেন, যা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে অনৈতিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া অভিযোগে আরও বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিজিৎ কুমার ঢাকায় একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক হয়েছেন, যার উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের তথ্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তদুপরি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর বিষয়েও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে সেই পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনিক কাজে প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, করদাতাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ, অসৌজন্যমূলক ভাষা ব্যবহার ও অহংকারপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শনের কারণে সাধারণ মানুষ তাকে একজন দুর্নীতিপরায়ণ ও হয়রানিকর কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
চিঠিতে মাহিনু ইসলাম মহিন বলেন,
“জনস্বার্থে এবং জাতীয় রাজস্ব আদায়ের স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে অভিজিৎ কুমারকে অনতিবিলম্বে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান, প্রয়োজনে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি গ্রহণ এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে তদন্ত আহ্বান করা উচিত।
চিঠির কপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম ও সাংবাদিক সংগঠনের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে, যাতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে অভিজিৎ কুমারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।



