এলজিইডিতে রঙ বদলের কারিগর আতাউর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের অগ্রভাগে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ভেতর দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান—যাকে অনেকেই “রঙ বদলের কারিগর” হিসেবে চেনেন।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়েও তিনি নিয়েছেন সিভিল প্রকল্পের দায়িত্ব। বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ফরিদপুরের টেপাখোলা লেক উন্নয়ন প্রকল্প ও মেহেরপুরের দুটি পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্প। অভিযোগ উঠেছে—তার এমন কর্তৃত্বের কারণে সিভিল প্রকৌশলীরা বঞ্চিত হচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে।
শুধু তাই নয়, এলকেএসএস-এর অর্থ বিষয়ক পরিচালকের পদও নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তিনি। সহকর্মীদের অভিযোগ, বহুমুখী পদ দখল করে পুরো দপ্তরে একক প্রভাব বিস্তার করেছেন আতাউর রহমান।
রাজনৈতিক অঙ্গনেও তার অবস্থান সমান বিতর্কিত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখলেও, পরবর্তীতে বিএনপিপন্থি ঠিকাদারদের সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলেন তিনি।
দুর্নীতি, পদদখল ও অনিয়মে এলজিইডির মেকানিক্যাল সেকশনকে পরিণত করেছেন অভিযোগের আখড়ায়। পুরাতন লিফট বিক্রির কেলেঙ্কারি ও অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত হলেও, তার কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। এতে সৎ ও যোগ্য প্রকৌশলীরা ক্রমেই উপেক্ষিত হয়ে পড়ছেন।
প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এখন প্রশ্ন—যদি এমন বিতর্কিত কর্মকর্তারা একক কর্তৃত্ব বজায় রাখেন, তবে দেশের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কতটা স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হবে?



