দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় অন্যতম আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী তোফায়েল হায়দার এখনো ধরাঁ ছোয়ার বাইরে। গেল বছরের ৪ আগষ্ট দেবিদ্বারে রাজ্জাক রুবেল হত্যার দিন প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছে তার লোকজন নিয়ে৷
ঘটনাটি ঘটার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী তোফাজ্জল হায়দার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দি-রয়েল কলেজের শিক্ষক তোফায়েল হায়দার দীর্ঘদিন যাবত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে কুমিল্লা শহরে তার আলিশান ফ্লাটে থাকছেন৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীরা কয়েক ধাপে গ্রেফতার হলেও তোফাজ্জল হোসেন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রয়েছে।
গত ৫ তারিখের পর থেকে অভিযুক্ত তোফায়েল গা-ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করেনি।
অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যাতে শিক্ষার্থীরা যাতে অংশ গ্রহন না করে সেজন্য কলেজের পেডে ঐ শিক্ষক
জরুরী নোটিশ দিয়েছিল।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে, আমরা কাউকে ছাড় দেব না।” তবে এখনো কোনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, নইলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোফায়েল হায়দারের ব্যবহৃদ মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা অপরাধীরা যদি আইনের আওতায় না আসে, তবে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।তাই
হামলাকারী তোফায়েল হায়দার ও তার সঙ্গীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
Md. Tofael Ahmed
(Special Correspondent)
B Positive (B+)
phone (01601363847)
Gmail. Mdtofaelahmed377@gmail
স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাটের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আহাদ ভূঁইয়া- নামের সঙ্গে যেভাবে জড়িয়ে আছে ‘সাবেক ছাত্রলীগ নেতা’ ও ‘আওয়ামী দোসর’ পরিচয়, ঠিক তেমনই গভীরভাবে জড়িয়ে আছে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একের পর এক কাহিনি।
দৈনিক ভোরের নতুন বার্তার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, কমলাপুর কাস্টম হাউস আইসিডিতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় বহুমাত্রিক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিনি সরকারি দায়িত্বকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কন্টেইনার ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বানিজ্য, অবৈধ রেয়াত সুবিধা প্রদান, চোরাচালানী সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত, নামমাত্র জরিমানা দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্যে রাজস্ব ফাঁকি, ভূয়া চালানে মূল্য কমিয়ে রিলিজ আদেশ- এমনকি নানা ধরনের অডিট রিপোর্ট গায়েব করে দেওয়ার মতো ভয়ংকর দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন।
দলীয় ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা আব্দুল আহাদ ভূঁইয়া কাস্টমসের পোশাকে যেন এক অঘোষিত ক্যাডার নেতা হয়ে উঠেছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের নামে যখন জুলাই বিপ্লবে ছাত্রসমাজ আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে, তখন তিনি নেপথ্যে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গোপনে সহযোগিতা করেন- এমন তথ্য জানিয়েছে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
আরো বিস্ময়কর তথ্য হলো- প্রশাসনের নিয়মনীতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর তদবিরে তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা থেকে সরাসরি পদোন্নতি নিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা হন। সূত্র বলছে, এ পদোন্নতির পেছনে মোটা অংকের লেনদেন হয়েছে, যার ছাপ পাওয়া গেছে নির্ভরযোগ্য লেনদেন বিশ্লেষণে।
বর্তমানে বরগুনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-১ এ কর্মরত এই কর্মকর্তা এখানেও একই ধরণের অপকর্মের মাধ্যমে দুর্নীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। মাঠপর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায়, অগ্রিম ঘুষ ছাড়া কোনো বিল অনুমোদন না করা, নিয়ম বহির্ভূত অডিট পরিচালনা, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এখন ওপেন সিক্রেট।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো- দৈনিক ভোরের নতুন বার্তার হাতে রয়েছে এমন একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যায় কমলাপুরে কর্মরত থাকাকালীন আব্দুল আহাদ ভূঁইয়া সরাসরি ঘুষ গ্রহণ করছেন। ভিডিওটি ইতিমধ্যে বিশ্লেষণের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের যোগ্য।
রাজস্ব খাতের এই অন্ধকার অধ্যায়ের পর্দা উঠাতে শুরু করেছে ‘দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা’। আরো অজানা তথ্য ও বিস্ফোরক ভিডিও আসছে দ্বিতীয় পর্বে।
চলবে….
