ছবিঃ লুটপাট হওয়া মায়ের দোয়া কেবল নেটওয়ার্ক
দাউদকান্দিতে ব্যবসায়ীর অর্ধ কোটি টাকা ক্যাবল নেটওয়ার্কের মালামাল লুটপাট করে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দাউদকান্দির দৌলতপুর ইউনিয়নের পালের বাজারে মায়ের দোয়া ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন এর প্রায় অর্ধকোটি টাকার সঞ্জময়াদী দিন দুপুর লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ১০/১২ বছর আগে অনেক শ্রমের বিনিময়ে ৫০/৬০লাখ টাকার মালামাল কিনে মায়ের দোয়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেন। তার এ প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি ইউনিয়নের সাত শত ত্রিশজন গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা দিতেন। এ প্রতিষ্ঠানে তিনি নিজে ও ৫/৬কর্মচারীর সংসার চলতো কিন্তুক এখন সবাই মানবতার জীবন পার করছে।
কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর গত ১০আগস্ট ইউনিয়ন যুবদল ও শ্রমিকদলের নাম ভাঙ্গিয়ে ২০/৩০জন সন্ত্রাসী পালের বাজারে মায়ের দোয়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসের তালা ভেঙ্গে ৫০/৬০লাখ টাকা মিশিন পত্র নিয়ে যায়। এ মালমাল গুলি নিয়ে পাঁচগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে ইউনিয়ন যুবদলের শরিফুল ইসলাম, শ্রমিক দলের নামধারী আক্তার হোসেন ও শরাবত আলী বিল্ডিং দ্বিতীয় তলায় সেটাআপ করে ঐ সাত শত ত্রিশ জন গ্রহকের মাঝে ইন্টারনেট ব্যবসা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি কর্মী লিখন বেপারী বলেন, আমার নেতা তারেক জিয়া বলেছেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাটকারীদের দলে জায়গা দিবে না। তিনি আরও বলেন, যারা এ লুটপাট করেছে তাদেরকে দলে পদ-পদবি দেওয়া ঠিক হবে না।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী কামাল হোসেন গত বলেন, ১২ আগস্ট দাউদকান্দি সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও মডেল থানা একটা অভিযোগ দায়ের করেন। এ পরও তার লুন্ঠিত মালামাল ফেরত পেতে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দ্বারস্ত হন। দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক ইসাক হেলাল নেতৃত্ব সালিসি বৈঠকে লুন্ঠিত সকল মালামাল ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও আজও তিনি তা ফেরত দেয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শ্রমিক দলের নামধারী শরাবত আলী বলেন, এটা সত্য মায়ের দোয়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক মালামাল কিছু বখাটে লুট করে নিয়ে আনছে। তবে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যস্থতায় তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
যুবদলের নেতা শরীফুল ইসলাম লাল মিয়া বলেন, আমি ঘটনার সাথে জড়িত না। দলের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক ইসাক হেলাল বলেন, আমি ভুক্তভোগী কামাল হোসেন ও যারা মালামাল গুলো নিয়ে আসছে তাদেরকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে করি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত মালামাল গুলো ফেরত দেওয়ার কথা হয়। আমি জানি মালামাল ফেরত দিয়েছে। তবে কোন মালামাল ফেরত দেয় নাই, তা আমার জানা নেই। তবে আমার নেতার নির্দেশ দলের কেউ যদি কোন অন্যায় করে তাকে বিন্দু পরিমান ছার দেওয়া হবে না।
দাউদকান্দি মডেল থানা ওসি মোঃ জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, আমার নিকট অভিযোগ আসলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।