তিতাসে ছোট বোনের স্বামীর সাথে জেডস পরকিয়া
স্বর্ণ-নগদ টাকাসহ প্রায় ১৭লাখ টাকা নিয়ে পলায়ন

স্টাফ রিপোর্ট:
কুমিল্লার তিতাসে নিজের স্ত্রী ও একটি শিশু সন্তানকে রেখে আপন জেডস পরকিয়ায় আশক্ত করে পালিয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত পরকিয়া নাগর ইতি মিয়া তিতাসের বলরামপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।গেলো ২৫শে আগস্ট ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কাজিরগাও গ্রামের মোল্লাবাড়ী থেকে স্বামীর পরিবার নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় বলে এ অভিযোগে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, তিতাসের বলরামপুর ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২১) ৫বছর আগে ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাজিরগাও গ্রামের এক প্রবাসীর নিকট ধর্মীয় শরিয়া মোতাবেক বিয়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে মুক্তার হোসাইনের আরেক মেয়েকে কালাই গোবিন্দপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে মোঃ ইতি মিয়ার নিকট বিয়ে দেয়া হয়।
জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে ইতি মিয়ার সাথে টিক টকে আশক্ত হয়ে পরে।
টিকটকের অশালিন ও আবেগী কন্টেন্ট তৈরীর এক ফাঁকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পরে। এখবর শুনে ওই প্রবাসী দেশে চলে আসে ও স্ত্রী’র এসব কু-কর্ম গোপনে নজরদারি করে।
সবশেষ গত ২৪ আগস্ট রাতে “সে (অহিদ মিয়া) বাড়ীতে ফিরবে না বলে স্ত্রীকে জানিয়ে, বাড়ীতেই আঁড়ি পাতে এবং প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গভীর রাতে জান্নাতুল ফেরদৌস ও ইতি মিয়াকে অসামাজিক কাজে হাতে-নাতে ধরে এবং নিকটাত্মীয় বিধায় শাসন করে ভোরে অহিদ মিয়া কাজে চলে যায়। সকালে খবর পায়, জান্নাতুল ফেরদৌস বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে।
পরে বিষয়টা জান্নাতের বাবা-মাকে জানাতে তাদের বাড়ীতে গেলে, মুক্তার হোসেনের পরিবারের লোকজন উল্টো তাকে গাল-মন্দ ও হুমকি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে অহিদের শালী হামিদা আক্তারও ইতি মিয়ার সংসার করবে না বলে কালাইগোবিন্দপুর থেকে পাঙ্গাসিয়া বাপের বাড়ীতে চলে আসে।
অভিযোগ জানা যায়, জান্নাতুল ফেরদৌস স্বামী অহিদ মিয়ার পরিবারের স্টীলের আলমারীতে রাখা নগদ ৩লাখ ২০হাজার টাকা, বিদেশ থেকে পাঠানো ৭ভরি স্বর্ণালাঙ্কার ও প্রায় ১২ভরি রূপার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত জজ মিয়ার ছেলে প্রবাসী মোঃ অহিদ (২৮) বাদী হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, মোঃ ইতি মিয়া, নাছিমা আক্তার ও হোসেন মিয়াসহ ৯জনের নাম উল্লেখ্য করে গত ১১সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে সিআর মামলা নং ৮৬৭/২০২৫ দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার জন্য বিজ্ঞ আদালত কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডি.বি)কে এক আদেশ প্রদান করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র এসআই তৌকিক হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে ঘটনা ও মামলার বিষয়ে জানতে ইতি মিয়া ও জান্নাতুল ফেরদৌসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে গত এক সপ্তাহ যাবত যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এবং কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।