Abdul Aziz আব্দুল আজিজ

Abdul Aziz STAFF REPORTER
দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
+8801736621065
abaziz1119926@gmail.com
Abdul Aziz STAFF REPORTER
দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
+8801736621065
abaziz1119926@gmail.com
মাহফুজ আহম্মেদ, কুমিল্লা
কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলায় কিশোর গ্যাং এর হামলায় নিহত শিক্ষার্থী সুজন হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার(০৮-১০-২৫) বিকালে অলুয়া চৌরাস্তা মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,নিহতের বাবা আবুল কালাম, নিহতের মা সেলিনা বেগম, স্থানীয় বাসিন্দা মাহাম্মদ পুলিশ,মনতাজ মেম্বার, সোহেল ভূইয়া, নজরুল মাষ্টার, ইউনুস মেম্বার,এরশাদ ভূইয়া,অলি ভূইয়া,মোশতাক ভূইয়া,রবিউল, করিম মিয়া, মোহাম্মদ রব,জাহের মিয়া সহ অনন্যরা৷
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সংঘবদ্ধ ভাবে একটি কিশোর গ্যাং এর হামলায় নিহত সুজনের হত্যাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারে করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷
বক্তরা আরো বলেন, মালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে মনোরহরপুর গ্রামের ৫/৬ টি ছেলের কারনে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে৷ আমরা চাই প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের গ্রেফতার করবে ।
মানববন্ধনে নিহত সুজনের বাবা আবুল কালাম বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছেলেকে যারা নিশংস ভাবে হত্যা করছে, আমি তাদের বিচার চাই। প্রশাসন যদি তাদের গ্রেফতার না করে তাহলে আমি কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন বিক্ষোভ করবো।
নিহতের মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে কিশোর গ্যাং হত্যা করেছে, কী দোষ ছিল আমার সন্তানের৷ আমার বুক যারা খালি করেছে প্রশাসন যাতে তাদের কে ফাসিঁ দেয়।
প্রসঙ্গত,গত ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এনামুলের দোকানের সামনে কিশোর গ্যাং এর হামলার ঘটনা ঘটে ঐ ঘটনায় ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয় সুজনের।
মোঃ আবদুল হালিম
স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক ভোরের নতুন বার্তা
জিমেইল:saikot86@gmail.com
মোবাইল:
01920126128
01613124588
ব্লাড গ্রুপ A+
আব্দুল আজিজ কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মারামারি ঘটনায় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের হারাইকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন।
আহতরা হলেন- এক পক্ষেের মো. রুস্তম আলী (৬৫), তার দুই ছেলে প্রবাসী ফারুক ইসলাম (৪২), কবির হোসেন (৩৫) ও সালমা আক্তার (৩৫)। অপর পক্ষের কামাল হোসেন (৫৬), ইকবাল হোসেন (৫৩) ও মনির হোসেন (৫০)। এদের মধ্যে রুস্তম আলী গুরুতর আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, জায়গায় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার মৃত জমশের আলীর ছেলে রুস্তম আলী ও মৃত আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে কামাল, ইকবাল ও মনির হোসেনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে । তারই জের ধরে সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি রুস্তম আলীর পক্ষের লোকজন এলাকাবাসীকে জানালে বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আহতরা তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
এদিকে আহত ফারুক হোসেন জানান, “আমাদের প্রতিবেশী মৃত আয়ুব আলীর ছেলে কামাল, ইকবাল ও মনিরদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে । এনিয়ে এলাকায় একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে এবং বিষয়টি আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। তারপরও তারা জোরপূর্বক আমাদের জায়গা দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করতে গেলে আমরা বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষরাসহ আরো ৫-৭ জন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে লাঠিসোঁটা ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ডুকে আমাদের হামলা চালায়। এবং আমার বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আমরা বাঁচাতে গেলে আমাকে ও আমার ভাই ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে । আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই”
অপর পক্ষ আহত কামাল হোসেন বলেন, “আমি বিল্ডিং কাজ ধরেছি আজ এক বছর চলে, রুস্তম আলীর ছেলে ফারুক, কবির ও ছবির আমার নিকট চাঁদা চেয়ে আসছে। আমি দেইনি বলে সোমবার বিকালে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আবার আমার নিকট চাঁদা দাবি করে, আমি চাঁদা না দেওয়ায় আমার ওপর হামলা করে। তিনি আরও বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত থেকে আমরা রায় পেয়েছি সোমবারের ঘটনা জায়গার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এই ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ মো: খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, হারাইকান্দি গ্রামের ঘটনায় পৃথক দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।