12:21 am, Saturday, 19 October 2024

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ

 

হাবিবুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টারঃ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াতে এই প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ। এ সবজি চাষে জেলার কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।

জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গ্রামে কৃষক আব্দু্ল জলিল বিদেশি এ সবজি স্কোয়াশ চাষ করে পেয়েছেন সাফল্য।

তিনি জানান, মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমে জমিতে বেড তৈরি করে চাষ করছেন স্কোয়াশ। পরিশ্রম কম, কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষে এলাকার অনেক কৃষক এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, স্কোয়াশ সবজি বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ভালো হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে এটি দেশের বাইরে বেশি পরিচিত। এ সবজিটি লম্বাটে আকৃতির, অনেকটা আমাদের দেশের লাউ কিংবা শসার মতো। কাঁচা অবস্থায় দেখতে গাঢ় সবুজ রঙের হয়, আর ভেতরে মিষ্টি কুমড়ার মতো। খেতে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি সবজি স্কোয়াশ।

কথা হয় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের মহিশাল্লোহা গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিলের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো আমি মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। এ চাষে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমি প্রশিক্ষণ নেই। তার পর এ চাষে মনোনিবেশ করি। স্কোয়াশ সবজিটি একটি বিদেশি সবজি।

‘নভেম্বরের শুরুতে জমিতে বীজ রোপণ করি। ডিসেম্বর মাসের প্রথমে গাছে ফল আসা শুরু হয়। আমার ক্ষেতে এবার ৪২০টি স্কোয়াশ গাছের চারা হয়েছে। আমাদেরও দেশের লাউ খেতে যেমন সুস্বাসু তেমনি স্কোয়াশও খেতে তেমনি সুস্বাদু।’

এ বছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার স্কোয়াশ সবজি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন কৃষক আব্দুল জলিল। এ চাষে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে।

একই এলাকার অন্য চাষি সেলিম বলেন, ‘সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সার্বিক পরামর্শে আমি এবারই প্রথম স্কোয়াশ চাষ করেছি ১০ শতাংশ জমিতে।

‘একটি স্কোয়াশ গাছে ছয় থেকে সাতটি ফল ধরে। এক একটির ওজন হয় প্রায় এক কেজি থেকে সোয়া কেজি।’

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এ চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এটি একটি নিরাপদ, সুস্বাদু সবজি। এ সবজির আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়ায়।

‘তা ছাড়া এ সবজিটি আমাদের দেশের চরাঞ্চলে বেশি চাষ হয়। সাটুরিয়া উপজেলা ছাড়াও আমরা জেলার অন্য উপজেলায় এ চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।’

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mainul Islam Mohin

সর্বাধিক পঠিত

দাউদকান্দিতে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ

Update Time : 12:58:09 am, Sunday, 31 December 2023

 

হাবিবুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টারঃ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াতে এই প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ। এ সবজি চাষে জেলার কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।

জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গ্রামে কৃষক আব্দু্ল জলিল বিদেশি এ সবজি স্কোয়াশ চাষ করে পেয়েছেন সাফল্য।

তিনি জানান, মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমে জমিতে বেড তৈরি করে চাষ করছেন স্কোয়াশ। পরিশ্রম কম, কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষে এলাকার অনেক কৃষক এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, স্কোয়াশ সবজি বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ভালো হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে এটি দেশের বাইরে বেশি পরিচিত। এ সবজিটি লম্বাটে আকৃতির, অনেকটা আমাদের দেশের লাউ কিংবা শসার মতো। কাঁচা অবস্থায় দেখতে গাঢ় সবুজ রঙের হয়, আর ভেতরে মিষ্টি কুমড়ার মতো। খেতে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি সবজি স্কোয়াশ।

কথা হয় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের মহিশাল্লোহা গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিলের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো আমি মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। এ চাষে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমি প্রশিক্ষণ নেই। তার পর এ চাষে মনোনিবেশ করি। স্কোয়াশ সবজিটি একটি বিদেশি সবজি।

‘নভেম্বরের শুরুতে জমিতে বীজ রোপণ করি। ডিসেম্বর মাসের প্রথমে গাছে ফল আসা শুরু হয়। আমার ক্ষেতে এবার ৪২০টি স্কোয়াশ গাছের চারা হয়েছে। আমাদেরও দেশের লাউ খেতে যেমন সুস্বাসু তেমনি স্কোয়াশও খেতে তেমনি সুস্বাদু।’

এ বছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার স্কোয়াশ সবজি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন কৃষক আব্দুল জলিল। এ চাষে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে।

একই এলাকার অন্য চাষি সেলিম বলেন, ‘সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সার্বিক পরামর্শে আমি এবারই প্রথম স্কোয়াশ চাষ করেছি ১০ শতাংশ জমিতে।

‘একটি স্কোয়াশ গাছে ছয় থেকে সাতটি ফল ধরে। এক একটির ওজন হয় প্রায় এক কেজি থেকে সোয়া কেজি।’

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এ চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এটি একটি নিরাপদ, সুস্বাদু সবজি। এ সবজির আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়ায়।

‘তা ছাড়া এ সবজিটি আমাদের দেশের চরাঞ্চলে বেশি চাষ হয়। সাটুরিয়া উপজেলা ছাড়াও আমরা জেলার অন্য উপজেলায় এ চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।’