কুমিল্লার তিতাসে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী উপকারভোগীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী উপকারভোগীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসামৎ ফরিদা ইয়াসমিন,উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জামিরুল হক,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সেতারুজ্জামান,উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী মো.মিজানুর রহমান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী জুনায়েদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.মোবারক হোসেনসহ আরও অনেক।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় অ স্ত্র ও গু লিসহ চার নারীকে গ্রে ফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায়
অভিযান নামে নাটক মঞ্চস্থ করে যৌথবাহিনি।
নিজেরাই মালু মিয়ার রান্না ঘরে দেশীয় অস্ত্র রেখে
মিথ্যা উদ্ধার নাটক করে গ্রেফতার করা হয় উপজেলার শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা (২৯), জসিমের স্ত্রী আমিনা (৩৭), জহিরের স্ত্রী জোবেদা (৩৩) ও আব্দুল কাদিরের স্ত্রী শান্তি বেগমকে (৬০)।
এবিষয়ে
লিজা আক্তার বলেন, প্রথমে পুলিশ এসে আমাদের ঘর সার্চ করতে চাইলে আনরা সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে, তারা জোর করে ঘরে ঢুকে। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কিছুই না পেয়ে বাইরে চলে আসে। কিছুক্ষণ পর নাসিরের দুই ছেলে শাওন, সানজিদ ও আলী হায়দার কুট্টির দুই ছেলে এসে সাইম নাঈম
পুলিশকে নিয়ে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে এবং ডিভাইস খুলে নেয়। অতপর ঘরে ঢুকে রান্না ঘর থেকে নাকি অস্ত্র উদ্ধার করে। কিন্তু আমরা কেউই দেখি নাই।
এরপর তারা সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা দেড় ঘন্টা পর এসে আমার তিন ঝা ও অপর একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মহিলারা অস্ত্র দিয়ে কি করবে? আমাদের ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নেই, সবাই প্রবাসি। মহিলা পেয়ে তারা আমাদেরকে ফাঁসিয়েছে।
বড়ঘাট এলাকায় আমীর ভাসুরের মার্কেট আছে। তিনি সেখানে ভাড়ার টাকা আনতে গেলে কুট্টির দুই ছেলে সাজিদ ও শাওন দশ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। এই নিয়ে আমার ভাসুরের সাথে তর্ক হয়। রাতে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে তারা এমন ঘটনা ঘটায়। এছাড়া মালু মিয়ার সন্তানরা প্রবাসে গিয়ে নিজেরা ভালো অর্থকরী আয় করায় তাদের হিংসা হয়। জনগণের জন্য নিজ অর্থায়নে তারা একটি রাস্তা নির্মাণ করায়, এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়। সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করে।
বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কুট্টি, নাসির ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক মিয়া। চক্রান্ত করে তারাই যৌথ বাহিনী দিয়ে ন্যসক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে৷
থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক চৌকস টিম শাহপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে অ ভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ১টি বিদেশি রি ভলবার, ৬ রাউন্ড গু লি, ১টি এলজি ব ন্দুক ও ২টি পা ইপগান উদ্ধারসহ তিন নারীকে গ্রে ফতার করা হয়।
পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একই রাতে একই এলাকার আব্দুল কাদিরের বাড়িতে পৃথক অ ভিযান চালিয়ে ১০টি সীসা কার্তুজ ও ৫টি ধারালো অ স্ত্র উদ্ধার এবং আরও এক নারীকে গ্রে ফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, “গ্রে ফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অ স্ত্র আইনে পৃথক দুটি মা মলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাদের কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার ও চোর চক্রের দুই সদস্য তিতাস এলাকায় গ্রেফতার।
গত ২৩ অক্টোবর বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষনপাড়া থানা এলাকা হতে একটি কলো রংয়ের সুজুকি জিক্সার মোটর সাইকেল চুরি হয়।
উক্ত ঘটনাটির সংবাদ পেয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ এর দিক নির্দেশনায় অত্র থানার চৌকস অফিসার পিএসআই (নিঃ)/মঞ্জুর হোসেন, এএসআই(নিঃ)/রাজিব কুমার দাস ও সংগীয় ফোর্স সহ গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান এর এক পর্যায়ে আজ ২৪ অক্টোবর ভোর রাতে বাতাকান্দি বাজারস্থ হযরত আলী চায়ের দোকানের নিকট আসামী সাইফুল ইসলাম(২২), পিতা- মোঃ ইসমাইল, সাং- বাতাকান্দি, থানা- তিতাস, জেলা- কুমিল্লা এর দখল হইতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন ও জিজ্ঞাসাবাদে সুজুকি মোটর সাইকেলটি তার সহযোগী আসামীদের সহয়তায় চুরি করিয়া আনিয়াছেন বলিয়া স্বীকার করেন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তার মোটরসাইকেল চুরি চক্রের আর এক সদস্য আসামী মোঃ কাইয়ুম (১৯),পিং-মোঃ কামাল,সাং- মজিদপুর,থানা- তিতাস, জেলা- কুমিল্লাকে একই পুলিশ টিম গ্রেফতার করে। বি-পাড়া থানা পুলিশ এর নিকট উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ও আসামীদ্বয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।
তিতাস উপজেলা ছাত্রদলের এক দীর্ঘদিনের সংগ্রামী নেতা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের রাজনৈতিক ভাবনা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আলোচনায় এসেছেন আল আমিন হক বাবু।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে (তার ভাষায়) স্বৈরাচারী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান নেওয়া এই তরুণ নেতা রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন সংগঠক হিসেবে সম্মান অর্জন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তিতাস উপজেলা সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক।
বর্তমানে তিনি তিতাস উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও তিতাস সদর ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত, যা তাঁর জনসম্পৃক্ততা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক।
নিজের রাজনৈতিক পথচলার বিষয়ে আল আমিন বাবু বলেন—
“বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে আমি তিতাসে ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে, এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এমন সময়ও এসেছে,১ মাসের জন্য বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছিল। তবুও আমি আপোষ করিনি, আদর্শ থেকে সরে যাইনি।”
তিনি আরো বলেন—
“আজ যদি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অবদান কেউ অস্বীকার করে, তবে সেটা শুধু ব্যক্তিগত নয়, আদর্শের বিরুদ্ধেও অবস্থান। অতীতে যেমন অনেকে আড়ালে থেকে ক্ষতি করতে চেয়েছিল, আজও তেমন কিছু প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, তরুণরাই পারে তিতাসকে নতুন পথে নিতে।”
এই তরুণ নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি স্থানীয় সরকারের মূলধারার দায়িত্বে যুক্ত হতে চান, যাতে তিতাসের উন্নয়ন, জনসম্পৃক্ততা ও স্বচ্ছ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
তাঁর ভাষায়—
“আমি চাই তিতাস হোক তরুণদের নেতৃত্বে একটি বসবাসযোগ্য, মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য উপজেলা। এখানে রাজনীতি হবে উন্নয়ন ও মানবতার ভিত্তিতে, প্রতিহিংসার নয়।”
তিতাসের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাঁর মতো উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সংযুক্ত নেতৃত্ব আগামী দিনে উপজেলার রাজনীতিতে নতুন গতি ও দিক নির্দেশনা দিতে পারে। তিনি সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।।